নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

ঢাকা মঙ্গলবার। রাত ১:০১। ৫ আগস্ট, ২০২৫।

ভারতকে অবিশ্বাস্য জয় এনে দিয়ে নেপথ্য গল্প শোনালেন সিরাজ

আগস্ট ৪, ২০২৫ ৮:২২
Link Copied!

অনলাইন ডেস্ক : দলের সেরা পেসার জসপ্রীত বুমরাহ না থাকায় ভারতীয় বোলিং ইউনিটের ‘অলিখিত’ নেতা বনে গিয়েছিলেন মোহাম্মদ সিরাজ। আচমকা কাঁধে এসে পড়া দায়িত্বটাও পালন করলেন রাজসিকভাবে। রোমাঞ্চকর ওভাল টেস্টে ভারতের অবিশ্বাস্য জয়ের নায়ক শেষ ইনিংসে পাঁচ উইকেট তুলে নেওয়া সিরাজ। হয়েছেন ম্যাচ সেরাও।

অথচ শেষ টেস্টের চতুর্থ দিনেই হঠাৎ ‘খলনায়ক’ বনে গিয়েছিলেন হ্যারি ব্রুকের ক্যাচ ছেড়ে দিয়ে। তার আগে লর্ডস টেস্টে শেষ মুহূর্তে আউট হয়েও ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীদের হৃদয় ভেঙে দিয়েছিলেন। বিধাতা হয়তো শেষটা অন্যরকমভাবেই লিখে রেখেছিলেন। সেই সিরাজই ইংল্যান্ডের স্বপ্নভঙ্গ করে সিরিজ শেষে নায়ক বনে গেলেন।

শেষ দিনে ইংল্যান্ডের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৩৫ রান, ভারতের চাই ৪ উইকেট। এমন পরিস্থিতিতে তিনটি উইকেটই ঝুলিতে পুড়েছেন সিরাজ। চাপে থাকা দলকে জেতানোর লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নেমেছিলেন ভারতীয় পেসার। খেলা শেষে ব্রডকাস্টারকে বলেছিলেন, ‘খুব সাধারণ পরিকল্পনা ছিল। আলাদা কিছু ভাবিনি। লক্ষ্য ছিল শুধু সঠিক জায়গায় বল রাখার। তাতে আউট হলে হবে। রান হলে হবে। ঠিক জায়গায় বল রেখেই সাফল্য এসেছে।’

আরও পড়ুনঃ  আগামী ৫-৬ দিন সরকারের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ: প্রেস সচিব

কথা বলার সময়ও হাঁপাচ্ছিলেন সিরাজ। আনন্দে ঠিকঠাক কথা বলতেও পারছিলেন না যেন। গলা ধরে আসছিল। রোববার হ্যারি ব্রুকের ক্যাচ ধরেও বাউন্ডারির দড়িতে পা দিয়ে ফেলেছিলেন। যার জেরে সমালোচিত হয়েছিলেন। সিরাজের ধরা ক্যাচে ব্রুক আউট হয়ে গেলে টেস্টটা চার দিনেই শেষ হয়ে যেতে পারতো।

আরও পড়ুনঃ  ক্ষুধার কাছে হার, গাজায় নিভে গেল আরও ৬ প্রাণ

হ্যারি ব্রুকের ক্যাচ মিস নিয়ে সিরাজ বলেন, “আমি ভাবিনি যে ক্যাচ ধরার সময় বাউন্ডারি কুশনে হাত লেগে যাবে। কিন্তু ওটাই ছিল ম্যাচ ঘুরিয়ে দেওয়ার মুহূর্ত। ব্রুক তখন টি-টোয়েন্টি মেজাজে চলে গিয়েছিল। সেই সময় আমরা ম্যাচে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছিলাম। তবে ঈশ্বরকে ধন্যবাদ, শেষ পর্যন্ত ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছি।”

আরও বলেন, “আমি সবসময় বিশ্বাস করি, যেকোনো অবস্থান থেকে আমি ম্যাচ জেতাতে পারি। আজ সকালেও ঘুম থেকে উঠে মনে হয়েছিল, আমি পারবো। গুগল থেকে একটা ছবি ডাউনলোড করেছিলাম যেখানে লেখা ছিল ‘Believe’ —বিশ্বাস করো।”

লর্ডস টেস্টে হারের পর রাতে ঘুমাতে পারেননি বলে জানিয়েছিলেন এই পেসার। সেই অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি বলেন, “লর্ডসে হারের পর খুব ভেঙে পড়েছিলাম। জাদ্দু ভাই (জাদেজা) তখন আমাকে বলেছিল — নিজের ডিফেন্সে আস্থা রাখো, আর বাবাকে মনে করো, তার জন্য খেলো। সেটাই আমাকে অনুপ্রেরণা দিয়েছে।” ম্যাচের কঠিন পরিস্থিতি থেকে টিমের দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমরা প্রথম দিন থেকেই কঠিন লড়াই করেছি। আজ যে জয়টা পেলাম, সেটা দলীয় মানসিকতার ফল।”

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল সময়ের কথা ২৪ লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন somoyerkotha24news@gmail.com ঠিকানায়।