অনলাইন ডেস্ক : আগেও এশিয়ান কাপের মূলপর্বে খেলেছে ভারত নারী ফুটবল দল। মিয়ানমারে অনুষ্ঠিত বাছাইপর্বে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে আবারও মূলপর্ব নিশ্চিত করেছে টিম ইন্ডিয়া। মেয়েদের এমন সাফল্যে তাদের জন্য বড় অঙ্কের অর্থ পুরস্কার ঘোষণা করেছে অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশন (এআইএফএফ)।
এএফসি নারী এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে অসাধারণ পারফরম্যান্সের জন্য ৫০,০০০ মার্কিন ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছে এআইএফএফ। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৬১ লাখ টাকার বেশি। এ ছাড়া সফল বাছাইপর্ব শেষে দেশে ফেরার পর উষ্ণ সংবর্ধনা পেয়েছে ভারতের নারী ফুটবলাররা।
মিয়ানমারে অনুষ্ঠিত টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মঙ্গোলিয়াকে ১৩-০ গোলে উড়িয়ে অভিযান শুরু করেছিল ভারত। দ্বিতীয় ম্যাচে পূর্ব তিমুরকে ৪-০ গোলে হারায় ভারতের মেয়েরা। ইরাককে ৫-০ গোলে হারিয়ে থাইল্যান্ডের মুখোমুখি হয়। সেই ম্যাচে শক্তিশালী থাইল্যান্ডকে হারায় ভারত। এতে করে অস্ট্রেলিয়ায় আগামী বছর অনুষ্ঠিতব্য এশিয়ান কাপের মূলপর্বে খেলার ছাড়পত্র পেয়ে যায় ভারতীয় মহিলা দল।
২০০৩ সালে শেষবার বাছাইপর্ব পেরিয়ে নারী এশিয়ান কাপে যোগ্যতা অর্জন করেছিল ভারত নারী দল। ২০২২ সালে আয়োজক দেশ হিসেবে এশিয়ান কাপ খেলে ভারত। এরপর আবারও এশিয়ান কাপের মূলপর্বে খেলতে দেখা যাবে তাদের।
বাংলাদেশে এখনো ঘোষণা নেই
প্রথমবারের মতো এশিয়ান কাপ ফুটবলের মূল পর্বে খেলবে দক্ষিণ এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ নারী দল। মিয়ানমার থেকে ইতিহাস গড়ে গতকাল রাতে দেশে ফেরার পর গভীর রাতেই নারী ফুটবলারদের সংবর্ধনার আয়োজন করেছিল বাফুফে।
ঝলমলে আয়োজনে এদিন সবার নজর ছিল বাফুফের তরফে কোনো অর্থ পুরস্কার ঘোষণা করে কি না সে দিকে। যদিও তেমন ঘোষণা আসেনি। পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল এদিন বলেন, ‘আমরা নারী দলের পেছনে ছিলাম, ভবিষ্যতেও থাকব। আমরা আপনাদের ওপর আস্থা রাখছি এবং প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, আপনাদের পেছনে আমরা আছি।’
সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর বাফুফে গত বছর ৯ নভেম্বর দেড় কোটি টাকা ঘোষণা করেছিল। সেই অর্থ এখনো দিতে পারেনি। নারী ফুটবলারদের মধ্যে ঋতুপর্ণারা কয়েকজন মাত্র মাসে ৫৫ হাজার সম্মানি টাকা পান। দেশে নেই ঘরোয়া লিগ। ফলে নারী ফুটবলারদের আর্থিক দুর্দশা প্রকট। এশিয়ান কাপ নিশ্চিতের পরও বাফুফে সভাপতির কাছ থেকে আর্থিক কোনো ঘোষণা না পাওয়ায় পুরো অনুষ্ঠানের আলো খানিকটা ম্লানই হয়েছে।