নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

বাংলাদেশ শুক্রবার। রাত ৯:২১। ১৫ আগস্ট, ২০২৫।

ভারতের যুদ্ধবিমান ধ্বংস করা পাইলটদের সর্বোচ্চ সামরিক পদক দিলো পাকিস্তান

আগস্ট ১৫, ২০২৫ ৪:৩৮
Link Copied!

অনলাইন ডেস্ক : ভারতের সঙ্গে চলতি বছরের মে মাসের সংঘর্ষে সাহসী অভিযানের পর প্রথমবারের মতো জনসমক্ষে এসেছেন পাকিস্তান বিমান বাহিনীর (পিএএফ) সেই পাইলটরা, যারা ছয়টি ভারতীয় যুদ্ধবিমান — যার মধ্যে অত্যাধুনিক রাফাল ফাইটার জেটও রয়েছে — ভূপাতিত করেছিলেন এবং রুশ নির্মিত এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করেছিলেন।

এই সাহসী পাইলটদেরকে দেশের সর্বোচ্চ সামরিক বীরত্ব পদক দিয়েছে পাকিস্তান। শুক্রবার (১৫ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, বৃহস্পতিবার আইওয়ান-ই-সদরে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি ও প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ এই বীর পাইলটদের দেশের সর্বোচ্চ সামরিক বীরত্ব পদক প্রদান করেন।

এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ বিশেষভাবে সম্মান জানান উইং কমান্ডার মালিক রিজওয়ানুল হককে। তিনি ‘অপারেশন বুনিয়ানুম মারসুস’-এ এস-৪০০ সিস্টেম ধ্বংস করার কৃতিত্ব অর্জন করেন। এ জন্য তাকে ‘তামঘা-ই-বসালাত’ পদক প্রদান করা হয়।

আরও পড়ুনঃ  আফগান সীমান্তে পাকিস্তানের সামরিক অভিযান, পালিয়েছেন হাজার হাজার মানুষ

শেহবাজ শরিফ নিজ হাতে পদক পরিয়ে দেন এবং তাকে মঞ্চে নিজের পাশে দাঁড়াতে আহ্বান জানান। শ্রোতাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “তিনি এস-৪০০ সিস্টেম ধ্বংস করেছেন”। এ কথা শুনে উপস্থিত জনতা করতালি ও উল্লাসে ফেটে পড়েন।

পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর মিডিয়া উইং ইন্টার-সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশনসের (আইএসপিআর) তথ্য অনুযায়ী, ‘সিতারা-ই-জুরাত’ পদক পান উইং কমান্ডার বিলাল রাজা, উইং কমান্ডার হাম্মাদ ইবনে মাসউদ, স্কোয়াড্রন লিডার এম ইউসুফ খান, স্কোয়াড্রন লিডার মুহাম্মদ ওসামা ইশফাক, স্কোয়াড্রন লিডার মুহাম্মদ হাসান আনিস, স্কোয়াড্রন লিডার তালাল হাসান ও স্কোয়াড্রন লিডার ফিদা মুহাম্মদ খান।

আরও পড়ুনঃ  সুষ্ঠু ও প্রভাবমুক্ত নির্বাচন করতে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ : আসিফ মাহমুদ

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মিরের পেহেলগামে এক হামলায় ২৬ জন নিহত হন। ভারত তাৎক্ষণিকভাবে এই হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করলেও পাকিস্তান তা দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করে।

এরপর ২৩ এপ্রিল ভারত একের পর এক বৈরী পদক্ষেপ নেয়। যার মধ্যে ৬৫ বছরের পুরোনো সিন্ধু নদ পানি চুক্তি (আইডব্লিউটি) স্থগিত করে, পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিসা বাতিল করে, ওয়াঘা-আটারি সীমান্ত বন্ধ করে দেয়, নয়াদিল্লিতে পাকিস্তান হাইকমিশন বন্ধের নির্দেশ দেয় এবং উভয় দেশের দূতাবাসে কর্মী সংখ্যা কমিয়ে আনার বিষয়ও রয়েছে।

এরপর ৭ মে ভোরে পাঞ্জাব ও আজাদ জম্মু ও কাশ্মিরের ছয়টি শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়, যাতে একটি মসজিদ ধ্বংস হয় এবং নারী-শিশুসহ বহু বেসামরিক মানুষ নিহত হন।

আরও পড়ুনঃ  নির্বাচন কমিশনারের আশ্বাসে রাবিতে শিক্ষার্থীদের অনশন প্রত্যাহার

এর জবাবে পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী দ্রুত পাল্টা অভিযান চালিয়ে ভারতীয় ৬টি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করে, যার মধ্যে তিনটি ছিল রাফাল ফাইটার জোট। এরপর ১০ মে ভোরে ভারত পাকিস্তানের কয়েকটি বিমান ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালে পাকিস্তান ‘অপারেশন বুনিয়ানুম মারসুস’ শুরু করে। এতে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র মজুদ কেন্দ্র, বিমান ঘাঁটি ও অন্যান্য কৌশলগত স্থাপনায় বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়।

পরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, সারারাতের তীব্র কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পর যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়েছে। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার ও ভারতের পররাষ্ট্র সচিব আলাদাভাবে এ চুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল সময়ের কথা ২৪ লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন somoyerkotha24news@gmail.com ঠিকানায়।