নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

বাংলাদেশ শুক্রবার। রাত ৯:৪২। ২১ নভেম্বর, ২০২৫।

ভূমিকম্পে রাবির হলে দেয়ালে ফাটল, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

নভেম্বর ২১, ২০২৫ ৯:১৮
Link Copied!

রাবি প্রতিনিধি : ভূমিকম্পে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শেরেবাংলা ফজলুল হক হলের দেয়ালে ফাটল এবং বিভিন্ন স্থানে পলেস্তারা খসে পড়েছে। এতে আতঙ্কিত হয়ে আবাসিক শিক্ষার্থীরা দ্রুত স্থানান্তর ও হল পুনর্র্নিমাণের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন। ভবনটির বিভিন্ন স্থানে আগে থেকেই পলেস্তারা খসে পড়ছিল।

শুক্রবার ভূমিকম্পের পর বেলা ১১টার দিকে শিক্ষার্থীরা হলের প্রধান ফটক থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন। পরে তাঁরা মিছিল নিয়ে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে গিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। বিক্ষোভের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) ও সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। পরে শিক্ষার্থীরা সেখানে এক ঘণ্টার মতো অবস্থান করে বিক্ষোভ সমাপ্ত করেন।

শেরেবাংলা ফজলুল হক হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ইমরান বলেন, ‘সকালের ভূমিকম্পের সময় হলের এক পাশে বড় ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে। কিছুদিন আগে যে অংশগুলো সংস্কার করা হয়েছিল, সেগুলোও আবার ফেটে গেছে। তিন শতাধিক শিক্ষার্থীর জীবন ঝুঁকিতে রয়েছে। ভবনটি অনেক আগেই বসবাসের অযোগ্য হয়ে গেছে, কিন্তু প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। তাই বাধ্য হয়েই আন্দোলনে নেমেছি। আমাদের দ্রুত নিরাপদ স্থানে স্থানান্তর না করলে বড় দুর্ঘটনা ঘটবে।’

শেরেবাংলা হল শাখা ছাত্রদলের সভাপতি মারুফ হাসান জেমস বলেন, ‘১৯৬২ সালে নির্মিত এই হল এখন পুরোপুরি জরাজীর্ণ। প্রতিটি রুমেই বড় বড় ফাটল রয়েছে। রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় ছাদ থেকে পলেস্তারা খসে পড়ে শিক্ষার্থীরা আহত হয়েছেন—এমন ঘটনাও রয়েছে। ভূমিকম্পের সময় শিক্ষার্থীরা আতঙ্কে ছোটাছুটি শুরু করেন, কেউ কেউ তিনতলা থেকে লাফ দেওয়ার কথাও চিন্তা করেছিলেন। আমরা বাঁচতে চাই, দ্রুত আমাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিন।’

রাকসুর সহসভাপতি (ভিপি) মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, ‘জুমার নামাজের পর যদি নিরাপদ স্থানে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত না দেওয়া হয়, তাহলে আমরা অপেক্ষা করব না। প্রয়োজনে নিজেরাই প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে অন্য হলে চলে যাব। বর্তমান হলে থাকা নিরাপদ নয়। আমরা যে ভবনের সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলছি, সেটি কখন ধসে পড়বে বলা যায় না।’

শেরেবাংলা হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘ভূমিকম্পের পর পরিদর্শনে এসে আমরা অসংখ্য ফাটল দেখতে পেয়েছি। এই হলে শিক্ষার্থীরা আর নিরাপদ নন। জুমার নামাজের পর বৈঠকে বসে তাদের দ্রুত নিরাপদ স্থানে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। অনেক শিক্ষার্থীর পরীক্ষা চলছে। তাই তাদের বাড়ি পাঠানোও সম্ভব নয়। আমরা অবশ্যই দ্রুত নিরাপদ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’

সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) ফরিদ উদ্দিন খান বলেন, ‘হল ভবনের অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। তিনতলা ঘুরে দেখেছি, বিভিন্ন জায়গায় পলেস্তারা খসে পড়েছে, কিছু স্থানে গভীর ফাটল রয়েছে। ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ মনে হচ্ছে। বুয়েট বা রুয়েটের বিশেষজ্ঞ এনে ঝুঁকির মাত্রা যাচাই করতে হবে। যদি বিশেষজ্ঞ মত অনুযায়ী ঝুঁকি বেশি হয়, তাহলে শিক্ষার্থীদের দ্রুত অন্য হলে রি-অ্যালোট (পুনরায় বরাদ্দ) করার সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল সময়ের কথা ২৪ লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন somoyerkotha24news@gmail.com ঠিকানায়।