নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

ঢাকা শনিবার। দুপুর ২:৪৪। ১২ জুলাই, ২০২৫।

রাজশাহীতে ৮জন ছাত্র নিয়ে মাদ্রাসা, অনুদান ভোগ করাই পরিচালকের মূল লক্ষ্য

জুলাই ১১, ২০২৫ ৮:৪৩
Link Copied!

স্টাফ রিপোর্টার: নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানাধীন গুচ্ছগ্রাম, কাশিয়াডাঙ্গা ইউনিয়ন ভূমি অফিস সংলগ্ন “আল জামেয়াতুল আরাবিয়া আল কাওমিয়া আল এমদাদিয়া মাদ্রাসা” ১৯৯৮সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত মাদ্রাসাটি সে সময় প্রতিষ্ঠা করেন মো: রেজাউর রহমান(৬৫) নামে এক ব্যক্তি। প্রায় ২ বিঘা সরকারি খাস জমির উপর এই বিশাল আয়তনের মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। মাদ্রাসায় পাঠদানের অভাবে ছাত্রের সংখ্যা নেমে এসেছে ৮ জনে। ছাত্রের সংখ্যা ৮ জন,শিক্ষকের সংখ্যা ২ জন এবং পরিচালক ১জন মোট ১১ জন মিলে প্রায় ২ বিঘা সরকারি খাস জমি ভোগ করছেন। যদিও সরকারের কাছে লিজ নেওয়া হয়েছে মাদ্রাসার নামে জমিটি। বিগত ১৫-১৬ বছর ধরে ৮ থেকে ১০ জনের বেশি ছাত্রের সংখ্যা তালিকা দেখাতে পারেননি মাদ্রাসার পরিচালক। অভিযোগ রয়েছে, ছাত্রের তালিকা বেশি দেখিয়ে অনুদান নিয়ে আত্মসাৎ করায় পরিচালকের মূল লক্ষ্য। এছাড়াও বিগত সরকারের আমলে সাবেক এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীর খুব ঘনিষ্ঠজন ছিলেন মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক রেজাউর রহমান। তার কাছে বিভিন্ন সময়ে অনুদান গ্রহণ করেছেন এবং তাকে দিয়ে তদবির করিয়ে প্রভাব বিস্তার করেছেন এমন অভিযোগ রয়েছে। সাবেক এমপি ফারুক চৌধুরীকে দিয়ে তদবির করিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে অনুদান গ্রহণ করেছেন এবং সেই অনুদানের টাকায় তিনি হোসেনিগঞ্জ এলাকায় ফ্ল্যাট কিনেছেন এমন অভিযোগ রয়েছে পরিচালকের বিরুদ্ধে।

আরও পড়ুনঃ  শাকিবের বিপরীতে ভারতীয় নায়িকা কেন, প্রশ্ন তুললেন দীপা

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, টিনসেডের ৮টি রুম রয়েছে মাদ্রাসার ভেতরে। বৃষ্টি হলে পানি পড়ে তবুও কোন উন্নয়ন হয়নি মাদ্রাসার। মাদ্রাসার শিক্ষকরা বলেন,৮টি রুমের মধ্যে ২টি রুমে শিক্ষক ও ছাত্র খুব কষ্ট করে বসবাস করে। বাকি ৬টা রুম এলোমেলো ভাবে পড়ে আছে। আপনাদের বেতন কিভাবে হয় প্রশ্নের উত্তরে বলেন, পরিচালক স্যার আমাদের বেতন কিভাবে দেয় জানিনা। তারা আরো বলেন, এই মাদ্রাসায় শিক্ষকরা বেশিদিন থাকে না। একই ব্যক্তি ২৭ বছর ধরে পরিচালকের দায়িত্ব পালন করাই স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। এই মাদ্রাসায় শিক্ষার মান, ছাত্রের উপস্থিতি এবং কাঠামোগত দিক পর্যালোচনা করে দেখা যায়, বিগত বছরগুলোতে ছাত্রের ভুয়া তালিকা তৈরি করে শুধু অনুদান গ্রহণ করা হয়েছে কিন্তু মাদ্রাসার কোন উন্নয়ন করা হয়নি।

আরও পড়ুনঃ  ইমোতে প্রেমের পর ব্ল্যাকমেইল, চক্রের ১২ সদস্য আটক

এরই মধ্যে স্থানীয়রা শতাধিক ছাত্রের নামে বরাদ্দকৃত চাউল আত্মসাথের অভিযোগ দিয়েছে জেলা প্রশাসক বরাবর, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে শতাধিক ছাত্রের নামে বরাদ্দকৃত ২ মেট্রিকটন চাউল উত্তোলন করে মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক। সেখান থেকে ১টন চাউল স্থানীয় একটি মুদির দোকানে গোপনে বিক্রি করেন পরিচালক। বিষয়টি জানাজানি হলে তিনি মুদির দোকানির কাছ থেকে চাউল গুলো ফেরত নিয়ে আসে। এতে প্রমাণিত হয় পরিচালক এভাবেই অনুদানের অর্থ আত্মসাৎ করে আসছেন দীর্ঘ বছর থেকে।

আরও পড়ুনঃ  খাঁচায় বন্দি চার সন্তান নিয়ে রাস্তায় ঘুরছেন মা!

এ বিষয়ে মাদ্রাসার পরিচালক রেজাউর রহমানের মুঠোফোনে ফোন দেয়া হলে তিনি বলেন, “উক্ত মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা আমি, দীর্ঘ ২৭ বছর থেকে এই মাদ্রাসা খুব কষ্ট করে পরিচালনা করে আসছি। আমার বিরুদ্ধে কোন পক্ষ ষড়যন্ত্র করছে।” সাবেক এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীর সাথে সম্পর্কের বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি ফোন কেটে দেন।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল সময়ের কথা ২৪ লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন somoyerkotha24news@gmail.com ঠিকানায়।