নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

বাংলাদেশ সোমবার। রাত ১:৪৪। ১৩ অক্টোবর, ২০২৫।

শিশুর সুরক্ষায় জাতীয় টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচি একটি মাইলফলক উদ্যোগ : উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ

অক্টোবর ১২, ২০২৫ ৯:২১
Link Copied!

স্টাফ রিপোর্টার : সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ সারা দেশব্যাপী টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন ২০২৫ এর সুফলতার জন্য এ কর্মসূচিকে এগিয়ে নিতে সকলের সহযোগিতা কামনা করে বলেন, শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় জাতীয় টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচি একটি মাইলফলক উদ্যোগ। তিনি বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে টিকাদানের যে ক্যাম্পেইন এতবছর পর আমরা শুরু করতে যাচ্ছি এটা আমাদের জন্য সুখবর।

উপদেষ্টা সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন শিশু, কিশোর, কিশোরী ক্লাব, প্রতিবন্ধী স্কুলে যে সমস্ত বাচ্চারা আছে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে এই টিকাদান ক্যাম্পেইন তাদের কাছে পৌঁছাবে এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

আরও পড়ুনঃ  রাজশাহীতে বিদ্যার্থী বৃত্তি পরীক্ষার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত

তিনি আজ ঢাকায় আজিমপুর স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম এতিমখানায় টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন ২০২৫ এর শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম ইপিআই কর্মসূচির আওতায় দেশব্যাপী টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন ২০২৫ এর শুভ উদ্বোধন করেন।

বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ১২ অক্টোবর২০২৫ থেকে শুরু হয়েছে জাতীয় টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচি। এই কর্মসূচির আওতায় ৯ মাস থেকে ১৫ বছর বয়সের কম বয়সী সকল শিশুকে বিনামূল্যে ১ ডোজ টাইফয়েড কনজুগেট ভ্যাকসিন (TCV) প্রদান করা হবে।

জাতীয় পর্যায়ে প্রথমবারের মতো একই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে প্রায় ৫ কোটি শিশুকে টিকা প্রদান করা হবে। জন্মসনদ না থাকলেও শিশুরা এই টিকার সুরক্ষা পেতে পারবে—যাতে কোনো শিশুই টিকাদান থেকে বঞ্চিত না হয়।

আরও পড়ুনঃ  বেনাপোল ট্রান্সপোর্ট এজেন্সী কর্মচারী ইউনিয়ন”র নব-নির্বাচিত কমিটি’র শপথ

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) অনুমোদিত টাইফয়েড কনজুগেট ভ্যাকসিন (TCV) একটি নিরাপদ, উন্নত ও কার্যকর টিকা, যা শরীরে প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ৯ মাস থেকে ১৫ বছর বয়সের কম শিশুদের একটি মাত্র ডোজ প্রদানেই ৮৫% পর্যন্ত টাইফয়েড প্রতিরোধ সম্ভব, যা শিশুদের দীর্ঘস্থায়ী সুরক্ষা নিশ্চিত করবে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, প্রাথমিকভাবে প্রাক-প্রাথমিক থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত স্কুল, মাদ্রাসা ও সমমানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে টিকা প্রদান করা হবে। পরবর্তীতে ৯ মাস থেকে ১৫ বছর বয়সের সকল শিশু, এমনকি স্কুলবহির্ভূত শিশুদেরও ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন স্থায়ী ও অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রে টিকা দেওয়া হবে। শহরের ভাসমান ও পথশিশুদের টিকাদানে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যুক্ত হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  মসজিদের চাবি নিয়ে বিরোধে সংঘর্ষ, বাড়িঘর ভাঙচুর আহত ৩৬

সরকারের লক্ষ্য এই কর্মসূচির আওতায় ৪ কোটি ৯০ লাখ শিশুকে টিকা প্রদান করা। ইতিমধ্যে ১ কোটি ৬৮ লাখ শিশুর নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে, এবং নিবন্ধনের পর টিকার সনদপত্র সরাসরি ডাউনলোড করা যাবে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই জাতীয় উদ্যোগ সফলভাবে বাস্তবায়িত হলে দেশে টাইফয়েড সংক্রমণ উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাবে এবং শিশুস্বাস্থ্যের মান ও সুরক্ষা এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল সময়ের কথা ২৪ লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন somoyerkotha24news@gmail.com ঠিকানায়।