নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

ঢাকা সোমবার। রাত ২:৩৯। ৭ জুলাই, ২০২৫।

সংবিধানে সুযোগের সমতা ও জুলাই আন্দোলনের অর্জন

জুলাই ৬, ২০২৫ ১:৫০
Link Copied!

২০২৪ সালের ১৬ জুলাই ঠিক দুপুর দুইটা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে উত্তপ্ত পুরো বাংলাদেশ। রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের পার্ক-মোড়টি পুলিশ আর ছাত্র-জনতার ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। বৈষম্য আর অপশাসনের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠা এক দুঃসাহসী যুবক হঠাৎ পুলিশের বন্দুকের সামনে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে গেলেন। চোখে তার প্রতিরোধের আগুন, বুকজোড়া যেন এক নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন। গুলিতে ঝাঁঝরা হলো সেই বুক। কয়েকবার দাঁড়ানোর চেষ্টা করেও শরীর ঝাঁকুনি দিয়ে পড়ে গেলেন আবু সাঈদ নামের সেই যুবকটি। তাঁকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলো। তবে হাসপাতালে আনার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জানালেন চিকিৎসকেরা ।
এর দুইদিন পরে ১৮ জুলাই রাজধানীর উত্তরার আজমপুর এলাকায় আন্দোলন চলাকালে ক্লান্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ‘পানি লাগবে কারও? পানি, পানি’ বলে তৃষ্ণা নিবারণের পানি বিতরণ করছিলেন মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধ। সেখানেই পুলিশের ছোঁড়া গুলি বিদ্ধ হয়ে পড়ে থাকে তাঁর নিথর দেহখানি। পাশেই ছিল পানির কয়েকটি বোতল। মুগ্ধ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণিতে স্নাতক শেষ করে ভর্তি হয়েছিলেন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের এমবিএ কোর্সে, পাশাপাশি করতেন ফ্রিল্যান্সিং। পরিবারের সবার স্নেহের মুগ্ধ পুলিশের গুলিতে হারিয়ে গেলেন চিরতরে।
আবার, একেবারেই প্রান্তিক ও দরিদ্র পরিবারের সন্তান নিহত আবু সাঈদ ছিলেন পরিবারের সবার ছোটো। ছয় ভাই ও তিন বোনের মধ্যে আবু সাঈদের শিক্ষাজীবন ছিল সবচেয়ে উজ্জ্বল। সাঈদের এক ভাই কেবল উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছেন, অন্যরা পড়েছেন প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যন্ত। তাই পুরো পরিবারের স্বপ্ন ছিল আবু সাঈদকে ঘিরে। ভাইবোনের মধ্যে আবু সাঈদ ছিল সবচেয়ে মেধাবী। তাই পরিবারের সবার উপার্জন দিয়ে তাকে পড়ালেখায় এতদূর পর্যন্ত নিয়ে এসেছেন। সাঈদ খালাশপীর দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জিপিএ ফাইভ পেয়ে এসএসসি পাশ করেন। রংপুর সরকারি কলেজ থেকে একই ফলাফল নিয়ে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে ভর্তি হন। আদরের ছোটো ভাইকে হারিয়ে হতভম্ব বড়ো ভাই রমজান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমার বাবা মকবুল হোসেন শারীরিক অসুস্থতায় শয্যাশায়ী। পরিবারের সবার উপার্জন দিয়ে আবু সাইদের পড়ালেখা এতদূর পর্যন্ত চালিয়ে নিয়ে এসেছি। একদিন সে অনেক বড়ো হবে, সমাজে প্রতিষ্ঠিত হবে সে আশা ছিল।’ নিহতের ছোট বোন সুমির আর্তনাদে আকাশ বাতাস ভারি হয়েছে। তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, হামার ভাইকে ওরা মেরে ফেলল ক্যান? হামার ভাই বেঁচে থাকলে হামার স্বপ্ন পূরণ হতো। সাঈদের মা মনোয়ারা নির্বাক হয়ে ফ্যালফ্যাল করে সবার দিকে তাকিয়ে থেকেছেন। মাঝে মাঝে কেবল বাবা বাবা বলে ডেকেছেন তিনি।
জুলাই গণঅভ্যুত্থান ২০২৪–এ শহীদদের তালিকা গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে সরকার। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক দুই ধাপে প্রকাশিত গেজেট অনুযায়ী, গণঅভ্যুত্থানে শহীদের সংখ্যা ৮৪৪। এই যে, আমাদের সন্তানতুল্য আবু সাঈদ কিংবা মুগ্ধের মতো হাজারো মানুষ আন্দোলনে প্রাণ দিলো বা সহস্র মানুষ আহত হলো, চোখ-হাত-পা-সহ শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হারালো, তার পেছনের মূল দাবিটিই ছিল বৈষম্যের অবসান। অর্থাৎ সকল নাগরিকের জন্য সুযোগের সমতা নিশ্চিত করা , একইসাথে মেধাভিত্তিক সমাজ গড়ে তোলা।
রাষ্ট্রের মূল উদ্দেশ্য হওয়া উচিত তার নাগরিকদের জন্য একটি ন্যায়ভিত্তিক, মর্যাদাপূর্ণ এবং সমান সুযোগের সমাজ গঠন। বাংলাদেশের সংবিধান এই আদর্শকে ভিত্তি করেই রচিত হয়েছে। তবু বাস্তবে অনেক সময় দেখা যায়, কিছু গোষ্ঠী বা শ্রেণি কাঠামোগত বা নীতিগত সুবিধা পাওয়ায় বাকি জনগোষ্ঠীর অধিকার ক্ষুণ্ন হয়েছে। ২০২৪ সালের ‘কোটা সংস্কার আন্দোলন’ বা ‘জুলাই আন্দোলন’ ছিল এ ধরনের এক কাঠামোগত বৈষম্যের বিরুদ্ধে তরুণদের এক ঐতিহাসিক প্রতিবাদ। যা পরে সামগ্রিকভাবে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে রূপ নেয়।
বাংলাদেশের সংবিধানে স্পষ্টভাবে নাগরিকদের জন্য সমান সুযোগ, বৈষম্যহীনতা, এবং মেধাভিত্তিক মূল্যায়ন নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। সংবিধানের ১৯(১) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে “সকল নাগরিকের জন্য সুযোগের সমতা নিশ্চিত করিতে রাষ্ট্র সচেষ্ট হইবেন৷” ২৭ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে “সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী।” সংবিধানের ২৯ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, “প্রজাতন্ত্রের কর্মে সকল নাগরিক সমানভাবে নিয়োগ বা পদপ্রাপ্তির অধিকারী হবেন।”(উপধারা ৩ (ক): “কোনো অনগ্রসর শ্রেণীর নাগরিকদের অনুকূলে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে।”) রাষ্ট্র তাঁর অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জন্য সরকারি চাকরিতে নিয়োগ লাভের ক্ষেত্রে সংরক্ষণ ব্যবস্থা বা কোটা রাখতেই পারে। তবে ১০০ জনের মধ্যে ৫৬ জন যখন কোটার মাধ্যমে আসবেন সেটা সংবিধান স্বীকৃত ‘সুযোগের সমতা’ ভাবনার সাথে বিষয়টি অনেকাংশে সাংঘর্ষিক বলে অনুমান করা যায়। উপরন্তু, যখন কোটা পদ্ধতি মেধাবী ও যোগ্য প্রার্থীদের ঠেকিয়ে রাখে, তখন সেটি ন্যায্যতার প্রশ্নেও স্বকীয়তা হারায়। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়া ছাত্রদের আপত্তি ছিল এখানেই। আন্দোলনের ফলে সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা পরিমাণ ০৭ শতাংশ নেমে এসেছে। যা নাগরিকের সুযোগের সমতা অর্জনের ক্ষেত্রে সহায়ক হবে বলে আশা করা যায়।
আবার, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ১৯(২) অনুচ্ছেদে বলা আছে “মানুষে মানুষে সামাজিক ও অর্থনৈতিক অসাম্য বিলোপ করিবার জন্য, নাগরিকদের মধ্যে সম্পদের সুষম বণ্টন নিশ্চিত করিবার জন্য এবং প্রজাতন্ত্রের সর্বত্র অর্থনৈতিক উন্নয়নের সমান স্তর অর্জনের উদ্দেশ্যে সুষম সুযোগ-সুবিধাদান নিশ্চিত করিবার জন্য রাষ্ট্র কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন৷” কিন্তু এটা স্পষ্ট যে, গত এক দশকে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ ব্যাপক অর্থনৈতিক বৈষম্যের শিকার হয়েছে। অর্থনৈতিক সংকট ও ব্যাপক মূল্যস্ফীতির মধ্যে যখন দেশের বেশির ভাগ মানুষ দৈনন্দিন ব্যয় মেটাতে হিমশিম খেয়েছে, অনেকেই খাওয়া কমিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছে, তখনো দেশের ব্যাংকগুলোতে কোটিপতি হিসাবধারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) খানার আয় ও ব্যয় জরিপ ২০২২ অনুযায়ী, দেশের সবচেয়ে বেশি ধনী পাঁচ শতাংশ মানুষের হাতে দেশের মোট আয়ের ৩০ দশমিক চার শতাংশ পুঞ্জীভূত। অন্যদিকে সবচেয়ে গরিব পাঁচ শতাংশ মানুষের আয় দেশটির মোট আয়ের মাত্র দশমিক ৩৭ শতাংশ। অথচ খানার আয় ও ব্যয় জরিপ ২০১০ অনুযায়ী, দেশের আয়ে সবচেয়ে ধনী ও সবচেয়ে গরিব পাঁচ শতাংশের ভাগ ছিল যথাক্রমে ২৪ দশমিক ৬১ ও শূন্য দশমিক ৭৮ শতাংশ। অর্থাৎ গত এক যুগে দেশের মোট আয়ে পাঁচ শতাংশ ধনীর ভাগ যখন উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়েছে, সবচেয়ে দরিদ্র পাঁচ শতাংশের ভাগ তখন আগের চেয়ে কমে অর্ধেক হয়েছে।
এ কারণেই আয় বৈষম্য–বিষয়ক গিনি সহগ ২০১০ সালের দশমিক ৪৫৮ থেকে ২০২২ সাল শেষে বেড়ে দাঁড়িয়েছে দশমিক ৪৯৯, যা উচ্চ আয় বৈষম্যকেই নির্দেশ করে। দেশের সম্পদ যে কিছু বিশেষ গোষ্ঠীর হাতে পুঞ্জীভূত হচ্ছে তা ক্রেডিট সুইস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের দেওয়া এই তথ্য থেকেও বোঝা যায়। দেশে ৫০ কোটি ডলার বা পাঁচ হাজার কোটি টাকার বেশি পরিমাণের সম্পদ আছে ২১ ব্যক্তির কাছে। আবার নিকট অতীতে বিভিন্ন ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে গচ্ছিত সাধারণ মানুষের অর্থ লোপাটের ঘটনা হরহামেশা ঘটেছে। একই সাথে দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার হয়েছে দেদারসে। বিশেষ ধরনের রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক কাঠামোর কারণেই তা ঘটেছে। সমাজের গভীরে লুকিয়ে থাকা অর্থনৈতিক বৈষম্য ও আপামর জনসাধারণের মনে থাকা ক্ষোভ তাদের নির্দ্বিধায় জুলাই আন্দোলনে সম্পৃক্ত করছে। ৫ই আগস্ট পরবর্তী সময়ে ব্যাংকিং ব্যবস্থাসহ অর্থনীতির অনেক সূচক ঘুরে দাঁড়িয়েছে।
আবার সংবিধানের ১৯(৩)অনুচ্ছেদে রয়েছে,” জাতীয় জীবনের সর্বস্তরে মহিলাদের অংশগ্রহণ ও সুযোগের সমতা রাষ্ট্র নিশ্চিত করিবেন।” তার পরেও এদেশে নারীরা নানা মাত্রায় বৈষম্যের শিকার। বৈষম্যের সাথে নির্যাতন অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। বাংলাদেশের জনসংখ্যা ও আবাসন শুমারি ২০২২-এর প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুযায়ী,দেশে প্রতি ১০০ জন নারীর বিপরীতে পুরুষের সংখ্যা ৯৯। অর্থাৎ দেশের জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি অংশ নারী। কিন্তু এই নারীরা প্রতিনিয়ত নানা ধরনের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। ২০২৪ সালে যৌতুকের দাবিতে ৩৬ জন নারী হত্যার শিকার হয়েছেন, যা সমাজ ও দেশের জন্য অত্যন্ত আশঙ্কার বিষয়। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নারীর অংশগ্রহণ তাদের স্বকীয় সত্তা হিসেবে সামনে আসার একটি সূচনা প্ল্যাটফর্ম বলে বিবেচনা করা যেতে পারে। আমাদের মনে রাখতে হবে, জাতীয় জীবনের সকল আন্দোলন-সংগ্রামে এদেশের নারীদের অংশগ্রহণ ও অসামান্য অবদান রয়েছে। মহান মুক্তিযুদ্ধে পুরুষের পাশাপাশি নারীদের ভূমিকা অস্বীকার করার সুযোগ নেই। গুরুত্বপূর্ণ অবদান ও সাহসিকতার জন্য নারী মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে ক্যাপ্টেন সিতারা বেগম, তারামন বিবি ও কাঁকন বিবি ‘বীর প্রতীক’ খেতাব পেয়েছেন। বাংলাদেশের নারীদের সঠিকভাবে সুযোগ-সুবিধা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা গেলে তাঁরাও দেশ গঠনে অসামান্য অবদান রাখতে সক্ষম হবেন। এর উদাহরণ তো জুলাই অভ্যুত্থানে নারীদের সাহসিকতাপূর্ণ অংশগ্রহণেই রয়েছে। যেখানে স্কুলছাত্রী থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সের নারীরা রাস্তায় নেমে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন। এখান থেকেই সূচনা হতে পারে নারীদের জন্য নতুন সমাজ ভাবনার। জাতীয় জীবনের সর্বস্তরে নারীদের অংশগ্রহণ ও সুযোগের সমতার পথে আমরা যেটুকু এগিয়েছি সেখান থেকে যেন আর পিছিয়ে না পড়ি।
নাগরিকের জন্য সুযোগের সমতা নিশ্চিতে জুলাই গণঅভ্যুত্থান ছিল জাতির জন্য অপরিহার্য একটি বাস্তবতা। এ পরিবর্তন ছিল সময়ের দাবি, যা দেশের তরুণ জনগোষ্ঠী বাস্তব করে দেখিয়েছে । মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় প্রেসিডেন্ট টমাস জেফারসন বলেছেন, “When injustice becomes law, resistance becomes duty.” আমাদের তরুণ প্রজন্ম সেই কাজটিই করেছে। দেশে আইনের শাসনের ঘাটতি আর সুযোগের সমতার অভাব যখন প্রকট হয়েছে তখনই তারা রাজপথে নেমে এসেছে, গর্জে উঠেছে, বদলে দিয়েছে বাংলাদেশকে। জুলাই অভ্যুত্থান কেবল কোটা বাতিলের একটি আন্দোলন নয়, এটি ন্যায়ের পক্ষে, বৈষম্যের বিরুদ্ধে একটি সাহসী অবস্থান।

আরও পড়ুনঃ  সৎ উদ্দেশ্য থাকলে পিআর পদ্ধতি নি‌য়ে কারো আপত্তি থাকবে না

লেখক: ম. জাভেদ ইকবাল
সিনিয়র উপপ্রধান তথ্য অফিসার, তথ্য অধিদফতর, ঢাকা।
(পিআইডি ফিচার)

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল সময়ের কথা ২৪ লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন somoyerkotha24news@gmail.com ঠিকানায়।