নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

বাংলাদেশ রবিবার। দুপুর ২:১২। ১২ অক্টোবর, ২০২৫।

হত্যা মামলায় নেতাকর্মীদের হয়রানি ও চাঁদের বিরুদ্ধে অপ্রচারের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

অক্টোবর ৮, ২০২৫ ৩:৪৩
Link Copied!

পিন্টু আলী, চারঘাট (রাজশাহী) প্রতিনিধি: রাজশাহীর চারঘাটে এক ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনায় হওয়া মামলায় বিএনপির নেতাকর্মীদের আসামি বানিয়ে হয়রানি করা ও জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সাইদ চাঁদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালানোর অভিযোগ উঠেছে। এই মামলায় জামিনে থাকা আটজন আসামি সংবাদ সম্মেলন করে এই অভিযোগ তুলেছেন।

তারা বলছেন, ঘটনার দিন আটজনের কেউই উপস্থিত ছিলেন না। একমাত্র বিএনপি করার অপরাধেই তাদের হত্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে। নিজ দলীয় নেতাকর্মী হওয়ার কারণে জেলা বিএনপির আহবায়ক সরল মনে বিএনপি নেতাকর্মীদের পক্ষে সুপারিশ করেছেন। কিন্তু মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে সুপারিশ করার মিথ্যা অভিযোগ তুলে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।

বুধবার (৮ অক্টোবর) সকালে চারঘাট থানা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আটজন আসামি সাংবাদিকদের সামনে তাদের এই অভিযোগ তুলে ধরেন।

আরও পড়ুনঃ  শহিদুল আলমের ‘কনশানস’সহ ফ্রিডম ফ্লোটিলার সব জাহাজ আটক করেছে ইসরায়েল

সংবাদ সম্মেলনে মামলার ১৪ নম্বর আসামি রায়পুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ সাজদার রহমান বলেন, ২০০৯ সালের ৬ অক্টোবর হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। হত্যাকান্ডের সাথে দু একজন জড়িত থাকলেও সে ঘটনায় পরিকল্পিতভাবে ২২ জনকে আসামী করা হয়েছে। এর মধ্যে পাঁচজন মারা গেছে। বাকি ১৭ জনের মধ্যে ৮ জন স্থানীয় বিএনপির সাবেক ও বর্তমান নেতাকর্মী। শুধুমাত্র বিএনপি করার কারণে তৎকালীন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের নির্দেশে বিএনপির নেতাকর্মীদের আসামি করা হয়। মামলার বাদী ও ১৮ জন সাক্ষী সকলেই আ’লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী।

তিনি বলেন, আমি ঘটনার তিনি প্রধান শিক্ষক হিসাবে স্কুলেই অবস্থান করছিলাম। অথচ আমাকে, আমার স্কুলের সভাপতিকে, সভাপতির ছেলে ইমাদাদুলসহ যারা বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত তাদের আসামি করা হয়েছে। যেহেতু ঘটনার সময় বর্তমান জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সাইদ চাঁদ তৎকালীন চারঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। এজন্য পুরো ঘটনা তিনি অবগত ছিলেন। পাঁচ আগষ্টের পর আমরা গ্রামবাসী তার বাড়িতে গেলে অনুরোধের এক পর্যায়ে তিনি অসহায় নেতাকর্মীদের বাঁচাতে সুপারিশ করেছেন। এখানে টাকা লেনদেনের কোনো ঘটনাই ঘটেনি। অথচ সেই আ’লীগের দোসররা আবু সাইদ চাঁদকে জড়িয়ে মিথ্যা অপপ্রচার চালানো শুরু করেছে।

আরও পড়ুনঃ  বিয়ের সময় খাট-সোফাও মেলেনি অপু বিশ্বাসের!

মামলার আরেক আসামি ইমদাদুল ইসলাম বলেন, আমি ডাকরা কলেজের একজন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী। ঘটনার দিন কলেজে থাকলেও আমাকে এবং আমার পিতাকে আসামী করা হয়েছে। মামলায় জামিনে থাকলেও আ’লীগ সরকার থাকাকালীন সময় কলেজে ঢুকতে পর্যন্ত দেয়নি। মিথ্যা মামলায় আমার সাজানো গোছানো সংসার ধ্বংস হয়ে গেছে।

আরও পড়ুনঃ  রাজশাহীতে পুকুর থেকে মানসিক ভারসাম্যহীন বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার 

সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আব্দুল সালাম, হত্যাকান্ডের পর পুরো গ্রামের বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়িঘর লুটপাট করা হয়েছে। জমির ফসল পর্যন্ত কেটে নেওয়া হয়েছে। দুঃখ দূর্দশার কথা শুনে এবং বিষয়টি অবগত থাকায় গ্রামবাসীর অনুরোধে আবু সাইদ চাঁদ ভাই সুপারিশ করেছেন। আসামিরা দীর্ঘ সময় আইন-আদালত করতে গিয়ে তিনবেলা খাবার জোটানো কঠিন হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় বিপুল অংকের টাকা আবু সাইদ চাঁদকে দিয়ে সুপারিশ করানোর বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা। আগামী নির্বাচন কেন্দ্র করে কিছু ব্যক্তি পরিকল্পিতভাবে এই অপপ্রচার চালাচ্ছে।

উল্লেখ্য হত্যা মামলাটি বর্তমানে রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-৩ আদালতে বিচারাধীন। মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে ১৪ অক্টোবর যুক্তিতর্কের জন্য দিন ধার্য রয়েছে।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল সময়ের কথা ২৪ লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন somoyerkotha24news@gmail.com ঠিকানায়।