অনলাইন ডেস্ক : রাজধানীর শাহবাগ, জাতীয় প্রেস ক্লাব ও পল্টন এলাকায় একাধিক রাজনৈতিক ও শিক্ষা সংশ্লিষ্ট বিক্ষোভ কর্মসূচির কারণে সকাল থেকেই তীব্র যানজটে স্থবির হয়ে পড়েছে ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো।
পুলিশ জানায়, একাধিক সংগঠনের লাগাতার কর্মসূচি ও বিক্ষোভের কারণে রোববার (১২ অক্টোবর) সকাল থেকেই স্বাভাবিক যান চলাচলে বড় ধরনের বিঘ্ন ঘটে।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক ও কর্মচারীরা। তারা বলেন, ‘শিক্ষা উপদেষ্টা আমাদের ২০ শতাংশ হারে বাড়িভাড়া ভাতা বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। আমরা তার বাস্তবায়ন চাই।’
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের শাহবাগ জোনের ট্রাফিক ইনস্পেক্টর তারিকুল আলম সুমন বলেন, ‘প্রেস ক্লাব এলাকায় শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচির কারণে পল্টন, প্রেস ক্লাব ও শাহবাগে যানজট বেড়েছে।’
অন্যদিকে, ১৮তম বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধনে উত্তীর্ণ হয়েও নিয়োগ না পাওয়া প্রার্থীরা শাহবাগে জড়ো হয়ে নিয়োগের দাবিতে বিক্ষোভ করেন। পুলিশ তাদের সরিয়ে দিলে তারা জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান নেন এবং সেখানেই বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, উত্তীর্ণ প্রার্থীরা যে কোনো সময় পুনরায় শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিতে পারেন—এ কারণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত ৭ কলেজ নিয়ে প্রস্তাবিত ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’ গঠনের দাবিতে শিক্ষার্থীরা ‘শিক্ষা ভবন অভিমুখে লং মার্চ’ কর্মসূচি পালন করে। অন্যদিকে, ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করে সায়েন্স ল্যাব এলাকায় বিক্ষোভ করেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের ধানমন্ডি জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার জিসানুল হক বলেন, ‘প্রায় এক ঘণ্টা বিক্ষোভ চলার পর শিক্ষার্থীরা রাস্তা থেকে সরে যায়।’
বিক্ষুব্ধ এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের বিরোধিতা করি না, তবে সেটা আমাদের ক্যাম্পাসের বাইরে করতে হবে।’
একাধিক কর্মসূচি ও বিক্ষোভের ফলে তোপখানা রোড, হাইকোর্ট, শাহবাগ ও পল্টন এলাকায় যানবাহন চলাচল প্রায় স্থবির হয়ে পড়ে। ঢাকা মহানগর ট্রাফিক বিভাগ যাত্রী ও চালকদের এই সব এলাকা এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছে।
গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং যানবাহন বিকল্প পথে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।-ইত্তেফাক