নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

বাংলাদেশ রবিবার। সকাল ৮:২৬। ১৭ আগস্ট, ২০২৫।

নেই চিকিৎসক-টেকনিশিয়ান-প্যাথোলজিষ্ট! তবুও চলছে চিকিৎসা-সেবা!

এপ্রিল ২৬, ২০২৫ ৫:১২
Link Copied!

মাসুম আল ইসলাম, বিশেষ প্রতিবেদক : ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় সরকারি স্বাস্থ্য সেবার অপ্রতুলতা ও অব্যবস্থার সুযোগ নিচ্ছে বেসরকারি ক্লিনিক এবং ডায়াগনিস্টিক সেন্টারের মালিকরা৷ এতে নাগরিকরা স্বাস্থ্য সেবার পিছনে অর্থ ব্যয় করছেন ঠিকই , কিন্তু পাচ্ছেনা মানসম্মত সেবা ৷ একটি ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে নেই কোন চিকিৎসক, টেকনিশিয়ান অথবা প্যাথোলজিষ্ট। তবুও চলছে চিকিৎসা-সেবা কার্যক্রম। মানুষের ৫টি মৌলিক অধিকারের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে চিকিৎসা-সেবা। সম্প্রতি, চিকিৎসা-সেবা নিয়ে নানান প্রশ্ন উঠেছে জনমনে। কিছু অসাধু ও স্বার্থান্বেষী ব্যক্তিদের কারণে এ মৌলিক অধিকারের বিষয় প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। সরকারের পক্ষ থেকে অধিকতর গুরুত্বারোপ না করা হলে- এ মৌলিক অধিকার থেকে সর্বসাধারণ বঞ্চিত হতে পারে বলেও মন্তব্য করা হচ্ছে! এ বিষয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় অনুসন্ধানে গেলে বেড়িয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য! অনুসন্ধানী প্রতিবেদন- ১
ব্যাপক অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়েই চলছে- কালামৃধা ইসলামিয়া ডায়াগনষ্টিক সেন্টার! এ ডায়াগনষ্টিক সেন্টারটি উপজেলার কালামৃধা বাজারে অবস্থিত। ২০২৩ সাল থেকে চিকিৎসা-সেবা কার্যক্রম শুরু হলেও বর্তমানে এ প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম চলছে কোন রকম জোড়াতালি দিয়ে। ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে অনুমোদনের পর থেকে প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র আর নবায়ন করেনি এ প্রতিষ্ঠানটি। সংবাদকর্মীরা, কারণ জানতে চাইলে- প্রতিষ্ঠানের জিএম (জেনারেল ম্যানেজার) আহামেদ সিয়াম বলেন- “আমাদের এমডি জামাল হোসাইন বলেছেন, সময় সুযোগ হোক পরে কাগজপত্র নবায়ন করবো।” এ সময় তিনি বলেন- গত একমাসের অধিক সময় ধরে আমরা কোন কাজ করিনা। রোগী এলে আমরা রেফার্ড করে দেই।
চাঞ্চল্যকর বিষয় হচ্ছে- কালামৃধা ইসলামিয়া ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে নেই কোন ল্যাব টেকনিশিয়ান, চিকিৎসক ও প্যাথোলজিষ্ট।

আরও পড়ুনঃ  বিএমডিএর সেচযন্ত্রের অপারেটর নিয়োগ ও সেচ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সেমিনার

অপরদিকে, উপজেলার আজিমনগর ইউনিয়নে দেখতে পাওয়া যায়- জননী ডায়াগনষ্টিক সেন্টার নামে একটি ২৪ ঘন্টা সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান! এ ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের নেই কোন অনুমোদন। আবেদনের কোনো প্রমানক দেখাতে পারেন নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। শুধুমাত্র ল্যাব টেকনিশিয়ানের স্বাক্ষর দিয়েই প্রদান করা হচ্ছে- ল্যাব রিপোর্ট। সনদপ্রাপ্ত প্যাথোলজিষ্ট কেন নেই? এমন প্রশ্নের জবাবে সংশ্লিষ্টরা সংবাদকর্মীদেরকে বলেন- দেখুন, এগুলো ঢাকায় থাকে। এগুলো এখানে দরকার হয় না। প্রতিষ্ঠানটির মালিক পরিচয় দানকারি মোঃ মামুন বলেন- এই প্রতিষ্ঠান রেনেসা প্রজেক্ট দ্বারা পরিচালিত। এখানকার ডাক্তাররাও রেনেসার! আমাদের সকল কাগজপত্র আছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন- মূলত, তার ছোট ভাই এই প্রতিষ্ঠানের মালিক। দেখভাল (পরিচালনা) করেন তার বড় ভাই মোঃ রুমি মিনা।
প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে প্রবেশের পর দেখা মেলে- ডাঃ কে এম শফিক রেহমান নামক একজন চিকিৎসকের। তিনি- এমবিবিএস, এফসিপিএস (মেডিসিন), মেডিসিন স্পেশিয়ালিস্ট, মেডিসিন কনসালটেন্ট রেনেসা প্রজেক্ট। তার সাথে সংবাদকর্মীরা কথা বলতে চাইলে- তিনি লাঞ্চ টাইম (দুপুর বেলার খাবারের সময়) হয়েছে বলে কৌশলে ওই স্থান থেকে শটকে পড়েন।

আরও পড়ুনঃ  বিএমএসএস রাজশাহী বিভাগীয় সম্মেলনে হুমায়ুন কবীর সভাপতি জুয়েল মন্ডল সাধারন সম্পাদক

চিকিৎসা ব্যবস্থার অনিয়ম, দূর্ণীতি ও অসঙ্গতি নিয়ে- আমাদের ধারাবাহিক অনুসন্ধানী প্রতিবেদন তুলে ধরা হবে। আপনার কাছে সঠিক তথ্য থাকলে, আমাদের জানাতে পারেন। আপনার দেয়া তথ্য অনুসন্ধানের পর প্রকাশ করতে চাইলে, যোগাযোগ করুন- ০১৭১২-৬৮৫০১০ এই নম্বরে।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল সময়ের কথা ২৪ লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন somoyerkotha24news@gmail.com ঠিকানায়।