নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

বাংলাদেশ শনিবার। রাত ২:৩৩। ৮ নভেম্বর, ২০২৫।

বিপ্লব ও সংহতি দিবসকে মুছে ফেলতে চেয়েছিল হাসিনা: মিলন

নভেম্বর ৭, ২০২৫ ৯:১০
Link Copied!

স্টাফ রিপোর্টার : ৭ নভেম্বর বিএনপির একটি ঐতিহাসিক দিন। এই দিনে বাংলার রাখালরাজা ও স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে ক্যান্টনমেন্টের বন্দিদশা থেকে মুক্ত করেছিল সিপাহী-জনতা। সে সময় মেজর জিয়া ও তাঁর পরিবার ক্যান্টনমেন্টে বন্দি ছিলেন।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর দেশে যখন রাজনৈতিক পরিবর্তনের ঝড় বয়ে যাচ্ছিল, তখনই সেনাবাহিনী ও সাধারণ মানুষ জিয়ার প্রয়োজন অনুভব করে—কারণ সেনা সদস্যরা তাঁকে ভালোবাসতেন। তাই এই দিনে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তাঁকে ও তাঁর পরিবারকে মুক্ত করা হয় বলে উল্লেখ করেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন।

শুক্রবার বিকেলে পবা থানা মোড়ে নওহাটা পৌর বিএনপি ও পবা উপজেলা বিএনপির আয়োজনে ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত র‌্যালিপূর্ব আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মিলন বলেন, পতিত সরকার ৭ নভেম্বরকে মানুষের মন থেকে চিরতরে মুছে ফেলতে নানা অপকৌশল চালিয়েছে। কিন্তু বিএনপি শত বাধা উপেক্ষা করে প্রতি বছর এই দিনটি পালন করে আসছে। আজও বাঙালি জাতি দিনটি উৎসবমুখর পরিবেশে পালন করছে।

তিনি বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান দেশের হাল ধরে প্রথমে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেন—কারণ গণতন্ত্রই হচ্ছে ক্ষমতায়নের মূল চাবিকাঠি। তিনি ‘সবার আগে বাংলাদেশ’ এই দর্শনে বিশ্বাস করতেন।

বাংলাদেশ নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে উল্লেখ করে মিলন বলেন, একটি দল দেশকে আবারও পিছিয়ে নিতে কাজ করছে। তারা নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এই ষড়যন্ত্র বিএনপিকে রুখে দিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি জোরেসোরে চলছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সম্ভাব্য মাস ও ক্ষণ ঘোষণা করেছে। অথচ জামায়াত এখনো নির্বাচন বাতিলের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত—তবু তারা প্রতিটি আসনে প্রার্থী দিয়েছে। জনগণকে ধোঁকা দিতে নানা ছলচাতুরীর আশ্রয় নিচ্ছে। এসব ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে এবং আগামী নির্বাচনে ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করতে মাঠে থাকতে হবে।

বক্তব্য শেষে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়। প্রধান অতিথি মিলন র‌্যালির নেতৃত্ব দেন। র‌্যালিটি পবা থানার মোড় থেকে শুরু হয়ে নওহাটা কলেজ মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন নওহাটা পৌর বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম রফিক। সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রাকিবুল ইসলাম পিটার এর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন নওহাটা পৌরসভার সাবেক মেয়র ও জেলা বিএনপির সদস্য শেখ মকবুল হোসেন, পবা উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব সহকারী অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম আহ্বায়ক সুলতান আহমেদ ও আব্দুল মান্নাফ মুন্নাফ, নওহাটা পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুর রহমান ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক শফিকুল আলম সমাপ্ত ও সদস্য সচিব আকুল হোসেন মিঠু, বিএনপি নেতা গোলাম মোর্তুজা, এমদাদুল হক, শরীফুর রহমান শরীফ, জেলা যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি ড. মোজাফফর হোসেন মুকুল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাসুদুর রহমান লিটন, সদস্য সচিব শাহরিয়ার আমিন বিপুল, নওহাটা পৌর ১নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আবজাল হোসেন, জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক কে.এইচ. রানা শেখ, সদস্য ইফতেখারুল ইসলাম ডনি, নওহাটা পৌর যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক সুজন মোল্লা, যুগ্ম আহ্বায়ক মিজান, মিলন, আজাদ, সুমন, মকসেদ ও ইলিয়াস।

এছাড়া জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দা রুমেনা হোসেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি ফরিদা বেগম ও সাংগঠনিক সম্পাদক রীতা খাতুন, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক হাফিজুর রহমান হাফিজ, পৌর ছাত্রদলের সদস্য সচিব সোহেল রহমানসহ বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল সময়ের কথা ২৪ লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন somoyerkotha24news@gmail.com ঠিকানায়।