মনির হোসেন, বেনাপোল প্রতিনিধি: বুধবার সন্ধ্যা ভারতে পাচার হয়ে যাওয়া ৩০ জন বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরীকে বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট দিয়ে দেশে ফেরত পাঠিয়েছে ভারতীয় ইমিগ্রেশন পুলিশ। ফেরত আসাদের মধ্যে ১৯ জন কিশোর এবং ১১ জন কিশোরী রয়েছে।
জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির প্রোগ্রাম অফিসার রেখা বিশ্বাস জানান, ফেরত আসাদের ঘটনাগুলো ভিন্ন হলেও বেশিরভাগকে ভালো কাজের প্রলোভন দেখিয়ে দালালরা বিভিন্ন সীমান্ত পথে অবৈধভাবে ভারতে পাচার করেছিল। পরে কাজের সন্ধানে ঘোরাঘুরির সময় অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে পশ্চিমবঙ্গসহ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে তারা পুলিশের হাতে আটক হয়। আদালতে সোপর্দ করার পর বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ভোগ করতে হয় তাদের।
সাজা শেষে ভারতীয় মানবাধিকার সংগঠনগুলো তাদের হেফাজতে নিয়ে শেল্টার হোমে রাখে। পরবর্তীতে দুই দেশের হাইকমিশন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে ট্রাভেল পাসের মাধ্যমে তাদের দেশে ফেরানো হয়।
ফেরত আসা কিশোর আবদুল্লা (১২), রাজু শেখ (১০), শামীম (১৬) এবং রুনা (১২) জানান, তাদের মা–বাবা এখনো ভারতের কারাগারে রয়েছেন। শেল্টার হোমের সহায়তায় তারা পরিবারের ঠিকানা সংগ্রহ করে বাংলাদেশে ফিরে এসেছে। সাতক্ষীরার আলীপুরের তানিয়া (১১), খুলনার কয়লা এলাকার রাবিয়া (১০) ও অহনা (৮) বলেন, তাদের মায়েরাও জেলে রয়েছেন এবং কবে মুক্তি পাবেন তারা জানেন না।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ওসি সাখাওয়াত হোসেন জানান, ভারতীয় কর্তৃপক্ষ ফেরত পাঠানোর পর কিশোর-কিশোরীদের বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ মামুন শাহ্ বলেন, ফেরত আসাদের দ্রুত পরিবারে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে তিনটি মানবাধিকার সংগঠনের কাছে রাতেই হস্তান্তর করা হয়েছে।
দেশে ফিরে তারা যেন পুনর্বাসন ও সুরক্ষার আওতায় আসতে পারে—এমন উদ্যোগ ইতোমধ্যেই গ্রহণ করেছে সংশ্লিষ্ট মানবাধিকার সংগঠনগুলো।

