নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

বাংলাদেশ রবিবার। রাত ১২:২৩। ১৭ আগস্ট, ২০২৫।

হামজাদের কোচিং স্টাফে ‘নীরব’ বদল অব্যাহত

আগস্ট ১৬, ২০২৫ ৭:০৬
Link Copied!

অনলাইন ডেস্ক : বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের স্প্যানিশ হেড কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা। একদিকে জাতীয় দলকে নিয়মিত সাফল্য এনে দিতে পারছেন না। আবার তার কৌশল, খেলোয়াড় নির্বাচনও চরম প্রশ্নবিদ্ধ। সাবেক ফুটবলার, ফুটবল সমর্থক এমনকি খোদ বাফুফের একজন নির্বাহী সদস্যও ক্যাবরেরার বিদায় চেয়েছেন। তুমুল সমালোচিত ক্যাবরেরা হামজা-জামালদের দায়িত্বে বহাল তবিয়তে থাকলেও প্রতি উইন্ডোতেই চলছে কোচিং স্টাফ রদবদল।

ফুটবলে ম্যাচের ফলাফলে অনেকাংশেই নির্ভর করে গোলরক্ষকদের পারফরম্যান্সের উপর। গোলরক্ষকদের একটা ভুল কিংবা অসাধারণ সেভ ম্যাচের ফলাফল বদলে দিতে সক্ষম। গোলরক্ষকদের সেই পারফরম্যান্স আবার নির্ভরশীল গোলরক্ষক কোচের অনুশীলন, কৌশলের উপর। বাংলাদেশ ফুটবল দলে গোলরক্ষক কোচ ধারাবাহিকভাবে বদল হচ্ছেই।

মার্চ উইন্ডোতে বাংলাদেশ দলের গোলরক্ষক কোচ ছিলেন বসুন্ধরা কিংসের নুরুজ্জামান নয়ন। ফিজিও ছিলেন বসুন্ধরা কিংসের আবু সুফিয়ান শাকিল। ক্লাবের কোচ-ফিজিও কেন জাতীয় দলে এ নিয়ে সমালোচনা হয়েছিল। এতে বাফুফে আবার বিদেশি কোচের শরণাপন্ন হয়। জুন উইন্ডোতে মিতুল-শ্রাবণদের কোচ ছিলেন মিগেল। সিঙ্গাপুর উইন্ডোতে কাজ করা সেই মিগেল এবার আর আসেননি। তার পরিবর্তে স্পেন থেকে এসেছেন আরেক গোলরক্ষক কোচ। তার নামও আবার মিগেল।

আরও পড়ুনঃ  দ্বিগুণ লিড নেওয়া টটেনহ্যামকে কাঁদিয়ে সুপার কাপ জিতল পিএসজি

কোচ বদলে স্বাভাবিকভাবেই গোলরক্ষকদের পারফরম্যান্স, অনুশীলনে প্রভাব পড়েই। জাতীয় দলের বর্তমান স্কোয়াডে গোলরক্ষকরা এ নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি। জাতীয় দলের সাবেক গোলরক্ষক ও অধিনায়ক আশরাফুল ইসলাম রানা এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। অনেক গোলরক্ষক কোচ থাকেন অ্যাটাকিং আবার কেউ ডিফেন্সিভ। বার বার কোচ বদল হলে গোলরক্ষকদের এর সঙ্গে মানিয়ে নিতে হয়। জাতীয় দলের ক্যাম্পও স্বল্প সময়ের জন্য হয়। ফলে সেটা বেশ কঠিনই হয়।’

সেপ্টেম্বরে ফিফা উইন্ডোর জন্য গোলরক্ষক পাপ্পু হোসেন জাতীয় দলে ডাক পেয়েছেন। গত মৌসুমে ব্রাদার্স ইউনিয়নে আশরাফুল রানাই প্রায় সব ম্যাচ খেলেছেন। অ-২৩ দলে একজন গোলরক্ষককে ডাকা হয়েছিল যিনি শীর্ষ পর্যায়ের প্রতিযোগিতামূলক ফুটবলে ছিলেন না অনেক দিন। তাই গোলরক্ষক কোচের দায়িত্বটা স্থায়ী হওয়া উচিত মনে করেন সাবেক অধিনায়ক রানা, ‘অ-২৩ দলে একজন গোলরক্ষককে ডেকে আবার বাহরাইনে নেয়া হয়নি। কেনই তাকে ডাকা হলো আবার কেন-ই বা তাকে বাদ দেয়া হলো বোধগম্য হয়নি। জাতীয় দলে একজন স্থায়ী গোলরক্ষক কোচ থাকলে তিনি খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স দেখেই ডাকতেন এবং তার কাছেও রিজার্ভ তালিকাও থাকত। প্রতি উইন্ডোতে নতুন কোচ আনলে গোলরক্ষকদের সম্পর্ক জানতেই তো সপ্তাহ খানেক লেগে যাবে।’

আরও পড়ুনঃ  বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশের প্রস্তুতি ম্যাচের সূচি প্রকাশ

জাতীয় দলে হেড কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরার সঙ্গে বাফুফের স্থায়ী চুক্তি। গোলরক্ষক, ফিটনেস কোচদের সঙ্গে শুধু টুর্নামেন্ট বা ক্যাম্পে যতদিন কাজ করেন তত দিনের সম্মানী পান। তাই গোলরক্ষক কোচের মতো ফিটনেস কোচও রদবদল হচ্ছে। মার্চ উইন্ডোতে ফিটনেস কোচ ছিলেন স্পেনিশ পেসো। গতকাল অনুশীলনে দেখা গেছে আরেক স্পেনিশ তরুণ জোসেফ মারিয়া। ফিটনেস কোচের উপরও দলের পারফরম্যান্স ও পরিকল্পনা অনেকাংশে নির্ভর করে।

আরও পড়ুনঃ  কোহলিকে হটিয়ে টি-টোয়েন্টির শীর্ষ পাঁচে ওয়ার্নার

জাতীয় দলের কোচিং স্টাফ নিয়োগের এখতিয়ার জাতীয় দল কমিটির। জাতীয় দল কমিটির একাধিক সদস্য জানিয়েছেন তারা কোচিং স্টাফের রদবদলের বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জ্ঞাত নন। তাদের ধারণা, হেড কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরাই প্রতি উইন্ডোতে তার পছন্দ অনুসারে একেক কোচ নিয়ে আসেন। দল নির্বাচনের মতো কোচিং স্টাফও বেছে নেয়া হেড কোচের দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে।

যেই ক্যাবরেরা বাংলাদেশে তিন বছরের বেশি সময় থেকেও এখনো খেলোয়াড় নির্বাচন, কৌশলই ঠিক করতে পারেন না তিনি পছন্দ-নিজের স্বার্থের উর্ধ্বে উঠে যোগ্য কোচিং স্টাফ আনেন কিনা সেই প্রশ্নও জোরেশোরে উঠেছে ফুটবলাঙ্গনে। সেপ্টেম্বর উইন্ডোর জন্য চার দিন আগে ক্যাম্প শুরু করলেও এখনো গণমাধ্যমের সামনে না আসায় কোচিং স্টাফ রদবদলের প্রক্রিয়া ও প্রভাব নিয়ে তার কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল সময়ের কথা ২৪ লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন somoyerkotha24news@gmail.com ঠিকানায়।