স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহী বিভাগে হৃদরোগে মৃত্যুহার কমাতে সরকার পরিচালিত অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ (এনসিডি) কর্মসূচি ও ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ যৌথভাবে কাজ করছে। বিভাগের আট জেলায় বর্তমানে লক্ষাধিক উচ্চ রক্তচাপের রোগী ও ৫০ হাজারের বেশি ডায়বেটিস রোগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোর এনসিডি কর্নার থেকে ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ওষুধ পাচ্ছেন।
ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের তথ্যমতে, রাজশাহী বিভাগে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের হার ৬১ শতাংশ, যা অনেক উন্নত দেশের সমান। তবে ২৪ শতাংশ রোগী নিয়মিত ফলোআপে আসেন না এবং ১৪ শতাংশ রোগী এখনও অনিয়ন্ত্রিত অবস্থায় রয়েছেন।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১টায় পরিচালক (স্বাস্থ্য) রাজশাহী বিভাগের কার্যালয়ে এনসিডি কর্নারের কার্যক্রম পর্যালোচনা ও উন্নয়ন বিষয়ে এক বিভাগীয় সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. মো. হবিবুর রহমান।
উপস্থিত ছিলেন, ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সাবেক পরিচালক ব্রিগেডিয়ার (অব.) ডা. মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপপরিচালক ডা. মো. নুরুল ইসলাম, বিভাগীয় উপপরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. মো. ইবনে ইমাম, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের বাংলাদেশ হাইপারটেনশন কন্ট্রোল ইনিশিয়েটিভ প্রোগ্রামের অতিরিক্ত পরিচালক ডা. মাহফুজুর রহমান ভূঁইয়া, সহকারী পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. রোজী আরা খাতুন, সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মো. রুহুল আমিন, রাজশাহীর সিভিল সার্জন ডা. এস এম রাজিউল করিম, পাবনার সিভিল সার্জন ডা. মো. আবুল কালাম আজাদ, সিরাজগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মো. নুরুল আমিন, নাটোরের সিভিল সার্জন ডা. মো. মোক্তাদির আরেফিন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. একেএম সাহাব উদ্দীন, বগুড়ার সিভিল সার্জন ডা. মো. খুরশীদ আলম, নওগাঁর সিভিল সার্জন ডা. মো. আমিনুল ইসলাম, জয়পুরহাটের সিভিল সার্জন ডা. মো. আল মামুন, এনসিডি প্রতিনিধি ডা. রাহাত চৌধুরী প্রমুখ।
বিভাগের সার্বিক তথ্য উপস্থাপন করেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের বাংলাদেশ হাইপারটেনশন কন্ট্রোল ইনিশিয়েটিভ প্রোগ্রামের বিভাগীয় প্রোগ্রাম অফিসার এহসানুল আমিন ইমন, সার্ভিল্যান্স মেডিকেল অফিসার ডা. প্রিতম সাহা, রাজশাহীর ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মাহবুবা খাতুন, এমওসিএস ডা. বায়েজিদ উল ইসলাম, নওগাঁর এমওসিএস ডা. নাজিয়া তানসনীম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, দেশের হৃদরোগজনিত মৃত্যুহার এক চতুর্থাংশ কমিয়ে ২৫ শতাংশে নামিয়ে আনা, উচ্চ রক্তচাপের ব্যাপকতা ১৮ শতাংশে কমানো এবং লবণ ব্যবহারের হার ২৫ শতাংশ হ্রাস করার লক্ষ্য নিয়ে সরকার কাজ করছে। এ লক্ষ্যে রাজশাহী বিভাগের সব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এনসিডি কর্নারের মাধ্যমে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়বেটিসসহ অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে বিনামূল্যে চিকিৎসা, পরামর্শ ও ওষুধ প্রদান অব্যাহত থাকবে।
বর্তমানে দেশে প্রতি চারজন প্রাপ্তবয়স্কের একজন উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এনসিডি কর্নারগুলোতে আধুনিক ডিজিটাল মেশিনের মাধ্যমে রক্তচাপ পরিমাপ ও তথ্য সংরক্ষণ করা হচ্ছে। একইসঙ্গে ‘সিম্পল অ্যাপস’-এর মাধ্যমে রোগীদের তথ্য নিয়মিত মনিটরিং করা হবে, যাতে উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণের হার আরও উন্নত করা যায়।

