নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

বাংলাদেশ রবিবার। রাত ২:৫৭। ১৯ অক্টোবর, ২০২৫।

জনপ্রিয় দৈনিক ‘প্রতিদিনের কাগজ’-এর শক্ত হাতে হাল ধরা সম্পাদক: সাংবাদিকতা যার নেশা, পেশা ও প্রেরণা

অক্টোবর ১৭, ২০২৫ ১০:৪৪
Link Copied!

বিশেষ প্রতিনিধি : বাংলাদেশের প্রিন্ট মিডিয়ার অন্যতম উজ্জ্বল নাম দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ। এই পত্রিকার সম্পাদক খায়রুল আলম রফিক—যিনি গত চার বছরেরও বেশি সময় ধরে বলিষ্ঠ নেতৃত্ব, সততা ও দূরদর্শিতার সঙ্গে পত্রিকাটিকে সাফল্যের শীর্ষে নিয়ে গেছেন। পাঠকের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জনের এই যাত্রায় তিনি প্রমাণ করেছেন, সাংবাদিকতা কেবল পেশা নয়, এটি এক ধরনের দায়বদ্ধতা, যা সমাজের প্রতি, মানুষের প্রতি এবং সবচেয়ে বড় করে সত্যের প্রতি।

শুরুটা সাধারণ, লক্ষ্য ছিল অসাধারণ: খায়রুল আলম রফিকের শিকড় দেশের এক প্রত্যন্ত অঞ্চলে হলেও, তাঁর চিন্তা সবসময়ই ছিল জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিসরে। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি ছিলেন লেখালেখি ও সামাজিক ভাবনার সঙ্গে নিবিড়ভাবে যুক্ত। সেই ভাবনা থেকেই ধীরে ধীরে তিনি এগিয়ে আসেন সাংবাদিকতায়।

আরও পড়ুনঃ  চাকসু নির্বাচন, অভিযোগের পরও অসহায় নির্বাচন কমিশন—ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী

পেশাগত জীবনে তিনি কাজ করেছেন দেশের খ্যাতনামা গণমাধ্যমে—সহ-সম্পাদক, বার্তা সম্পাদক, প্রধান প্রতিবেদকসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে। প্রতিটি ধাপে তাঁর সততা, দক্ষতা ও নেতৃত্বের প্রতিভা তাঁকে নিয়ে গেছে আরও বড় দায়িত্বের দিকে।

পত্রিকার পাল্টে দেওয়া চেহারা: সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই খায়রুল আলম রফিক দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ-এ এনেছেন কাঠামোগত ও কনটেন্ট-ভিত্তিক আমূল পরিবর্তন। তিনি সংবাদ পরিবেশনায় এনেছেন আধুনিকতা, গভীরতা এবং বিশ্বাসযোগ্যতা। পাঠকবান্ধব ডিজাইন, অনুসন্ধানী রিপোর্ট, সমাজমুখী বিশ্লেষণ এবং নিরপেক্ষ সম্পাদকীয় তাঁর হাত ধরেই নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে।

বিশেষ করে, প্রতিদিনের কাগজ পত্রিকাটির অনলাইন সংস্করণে তাঁর তত্ত্বাবধানে ঘটে ব্যাপক রূপান্তর, যা ডিজিটাল যুগের তরুণ পাঠকদের মধ্যেও জনপ্রিয়তা এনে দেয় ‘প্রতিদিনের কাগজ’-কে।

আরও পড়ুনঃ  নিয়ামতপুরে ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে শিক্ষক-কর্মচারীদের মানববন্ধন

সত্য ও সাহসিকতার প্রতীক: দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনের নানা চাপে, প্রলোভনে বা বিভক্তিতে যখন অনেকেই নিরব থাকেন—তখনও খায়রুল আলম রফিক সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে সোচ্চার থেকেছেন। তিনি সাহসের সঙ্গে সম্পাদকীয়তে তুলে ধরেছেন সাধারণ মানুষের কথা, সমালোচনা করেছেন সরকারের ভুল সিদ্ধান্ত এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে রেখেছেন আপসহীন অবস্থান।

তাঁর বিশ্বাস: “সাংবাদিকতা মানেই জনগণের মুখপত্র হওয়া। সত্যকে তুলে ধরাই আমাদের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব—কেউ খুশি হোক বা না হোক।

নবীনদের প্রশিক্ষক, ভবিষ্যতের নির্মাতা: দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ সম্পাদক মোঃ খায়রুল আলম রফিক শুধু নিজেই নয়, তৈরি করে চলেছেন পরবর্তী প্রজন্মের সাংবাদিকদের। তরুণদের প্রশিক্ষণ, পরামর্শ এবং সুযোগ করে দেওয়ার ক্ষেত্রে তিনি বরাবরই উদার ও দায়িত্বশীল। তাঁর পরিচালনায় অনেক তরুণ আজ জাতীয় পর্যায়ে সুপ্রতিষ্ঠিত সাংবাদিক।

আরও পড়ুনঃ  রাকসু নির্বাচনে বোমা ফাটানোর ভিডিওটি এআই-নির্মিত: আরএমপি

উপসংহার: খায়রুল আলম রফিক শুধু একজন সম্পাদক নন—তিনি একজন চিন্তানায়ক, একজন দিকনির্দেশক, এবং সর্বোপরি একজন সমাজসচেতন সাংবাদিক। তাঁর দক্ষ নেতৃত্বে ‘দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ’ যেমন জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছেছে, তেমনি সাংবাদিকতার মান ও আদর্শ বজায় রেখে গণমাধ্যম জগতে তৈরি করেছে একটি শক্তিশালী ও প্রভাবশালী অবস্থান। তাঁর নিরপেক্ষতা, সততা ও সাহস ভবিষ্যতের সাংবাদিকদের জন্য পথপ্রদর্শক হয়ে থাকবে নিঃসন্দেহে।

 

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল সময়ের কথা ২৪ লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন somoyerkotha24news@gmail.com ঠিকানায়।