স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহী নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানার অন্তর্ভুক্ত চারখুটার মোড়ে রেল ক্রসিং এর পাশে রমরমা জুয়ার আসর চলছে। সম্প্রতি সময়ে জুয়ার আসরটি বসায় স্থানীয় দুই মাদক ব্যবসায়ীসহ কয়েকজন মিলে। থেমে নেই অনলাইন জুয়ার রমরমা কারবারও।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায় মিঠু, রকি, শাহ আলম আকিবুরের নেতৃত্ব জুয়ার আসর বসানো হয়েছে। রকি ও আকিবুরের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসার অভিযোগ রয়েছে। চারখুটার মোড়ের স্থানীয় লোকজন জানান গত প্রায় ৮ মাস থেকে জুয়ার আসরটি চলছে। প্রতিদিন রাতে নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে জুয়া খেলতে লোকজন আসছে, এমনকি প্রতিরাতে কাশিয়াডাংগা থানার টহল পুলিশ জুয়ার আসর থেকে টাকা নিয়ে যাচ্ছে। ইতিপূর্বে এই জুয়ার আসর নিয়ে অভিযোগ উঠলে জুয়ার আসরের ঘরটি পরিবর্তন করে পাশেই আরেকটি ঘরে জুয়ার আসর বসায়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শহরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি জুয়া চলে কাশিয়াডাঙ্গা থানা এলাকায়। প্রতি রাতেই বসছে রমরমা জুয়ার আসর। কিছু জুয়ার আসরে বসেন নিম্ন আয়ের মানুষ, আর কিছু আসরে বসেন বড় ব্যবসায়ী, ঠিকাদার এমনকি সরকারি চাকরিজীবীরাও। সংশ্লিষ্ট এলাকার থানা-পুলিশকে ‘ম্যানেজ’ করেই এসব জুয়ার আসরগুলো পরিচালনা করা হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযুক্ত মিঠু বলেন, এ বিষয়ে পুলিশের সাথে কথা হয়েছে।
এবিষয়ে কাশিয়াডাঙ্গা থানায় অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: আজিজুল বারী ইবনে জলিল বলেন, জুয়ার বোর্ডটির বিষয়ে আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম এর আগে আমি জানতাম না, আমি জুয়ার বোর্ডেটি বন্ধ করতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো এবং এর সাথে যদি আমার থানার কোন পুলিশ সদস্যর সম্পৃক্ততা পাওয়া যায় তাহলে তার বিরুদ্ধে ও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এবিষয়ে আরএমপির মুখপাত্র মো: গাজিউর রহমান, পিপিএম উপ-পুলিশ কমিশনার, সিটিটিসি (চলতি দায়িত্বে) ও এডিসি (মিডিয়া) রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি) বলেন, জুয়ার বোর্ডটা সম্পর্কে আমার জানা নাই, আমি আমার গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে জুয়ার সাথে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহণ করবো।

