অনলাইন ডেস্ক : বিরোধী দলীয় নেত্রী মারিয়া কোরিনা মাচাদো শান্তিতে নোবেল জেতার তিনদিন পর নরওয়েতে নিজেদের দূতাবাস বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে ভেনেজুয়েলা। তবে তিনি নোবেল জেতায় দূতাবাস বন্ধ করা হচ্ছে— এমন কোনো তথ্য জানায়নি ভেনেজুয়েলা।
দেশটির সরকার বলেছে, নিজেদের প্রবাসী সেবা পুনর্গঠনের অংশ হিসেবে নরওয়ের ওসলোতে তাদের দূতাবাস বন্ধ করা হচ্ছে।
নরওয়ের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভেনেজুয়েলা তাদের দূতাবাস বন্ধ করে দিয়েছে। কিন্তু দেশটি তাদের কোনো কারণ জানায়নি।
গত শুক্রবার নরওয়ের নোবেল কমিটি মারিয়া কোরিনা মাচাদোকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেয়। তারা জানিয়েছে, ভেনেজুয়েলার সাধারণ মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ে নিরলস কাজ করায় তাকে শান্তিতে নোবেল দেওয়া হয়েছে।
নোবেল কমিটি তাকে শান্তিতে নোবেল দিলেও ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো মাচাদোকে ‘পৈশাচিক ডাইনি’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
ভেনেজুয়েলার দূতাবাস বন্ধের বিষয়টিকে ‘দুঃখজনক’ হিসেবে ঘোষণা করেছে নরওয়ে। তারা বলেছে, “বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মতানৈক্য থাকলেও, নরওয়ে ভেনেজুয়েলার সঙ্গে আলোচনার পথ খোলা রাখা এবং বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কাজ করতে চায়।
নরওয়ের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, “নোবেল পুরস্কার নরওয়ের সরকার থেকে সম্পূর্ণ আলাদা।”
প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর ১২ বছরের শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আসছেন নোবেলজয়ী মাচাদো। গত বছরের নির্বাচনে মাদুরোর বিরুদ্ধে বিরোধী দলগুলোকে এক করেছিলেন তিনি। কিন্তু তা সত্ত্বেও মাদুরো নির্বাচনে জেতেন। যদিও এ নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ রয়েছে।
নির্বাচন শেষ হওয়ার পরপরই মাচাদোকে গ্রেপ্তার করেছিল মাদুরো সরকার। কিন্তু পশ্চিমাদের চাপে পড়ে তাকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় তারা। এরপর থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন মাচাদো। ধারণা করা হয় তিনি যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে আছেন।
সূত্র: বিবিসি