মোহাঃ আসলাম আলী, বাঘা : সেপ্টেম্বর মাসে রাজশাহী জেলার শ্রেষ্ঠ থানা নির্বাচিত হয়েছে বাঘা থানা। একই সঙ্গে ডিআইজি ও এসপি’র পক্ষ থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধারে নেতৃত্বদানের জন্য বিশেষ সম্মাননা হিসেবে বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ আ ফ ম আছাদুজ্জামান কে আর্থিক পুরস্কৃত করা হয়েছে।
এছাড়াও রাজশাহী রেঞ্জের শ্রেষ্ঠ উদ্ধারকারী অফিসার হিসেবে বাঘা থানার এসআই (নিঃ) মোঃ মোজাম্মেল হককে ডিআইজি সম্মাননা ক্রেস্ট ও আর্থিক পুরষ্কার এবং রেঞ্জের ও জেলার শ্রেষ্ঠ ওয়ারেন্ট তামিলকারী অফিসার হিসেবে বাঘা থানার এএসআই (নিঃ) আব্দুল মালেক কে আর্থিক পুরষ্কার প্রদান করা হয়।
বৃহস্পতিবার ২৪ অক্টোবর রাজশাহী জেলা পুলিশের সেপ্টেম্বর মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় পুলিশ সুপার (এসপি) ফারজানা ইসলাম তাদের হাতে এ পুরস্কার তুলে দেন। সভায় জেলার সামগ্রিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, মামলার নিষ্পত্তি, ওয়ারেন্ট তামিল, নারী ও শিশু নির্যাতন, মাদক মামলা, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, চুরি-ডাকাতি নিয়ন্ত্রণসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রাজশাহী জেলার আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছে। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই তাদের অগ্রাধিকার। চাঁদাবাজি রোধ, রাত্রিকালীন টহল জোরদার এবং চুরি-ডাকাতি ও দস্যুতা নিয়ন্ত্রণে গোয়েন্দা কার্যক্রম আরও জোরদারের নির্দেশনা দেওয়া হয় এ সময়।
আ ফ ম আছাদুজ্জামান বাঘা থানায় অফিসার ইনচার্জ হিসেবে যোগদানের পর এপর্যন্ত তিনবার জেলার শ্রেষ্ঠ থানা হিসেবে বাঘা থানা নির্বাচিত হয়। এছাড়াও জেলার শ্রেষ্ঠ ওয়ারেন্ট তামিলকারী অফিসার হিসেবে বাঘা থানার এএসআই (নিঃ) আব্দুল মালেক ষষ্ঠবারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন।
এ সাফল্যের বিষয়ে জানতে চাইলে বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আ.ফ. ম আছাদুজ্জামান বলেন, এই অর্জন বাঘা থানার পুরো টিমের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফল। মাদক নির্মূল,আইন- শৃঙ্খলা রক্ষা ও জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা দিন-রাত পরিশ্রম করছি। এই স্বীকৃতি আমাদের আরও দায়িত্বশীলভাবে কাজ করতে উৎসাহিত করবে। জনগণের সহযোগিতা ছাড়া কোনো সাফল্য সম্ভব নয়, তাই জনসাধারণের সহযোগিতাই আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি।
তিনি আরও বলেন, মহান আল্লাহ পাক “টীম বাঘা” এর পেশাগত উন্নতির এই ধারাবাহিকতা আগামী দিনগুলিতেও যেন বজায় রাখেন, সেজন্য সকলের কাছে দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করছি।

