হুমায়ুন কবীর, রাজশাহী : অগ্রহায়ণ মাসের শুরু থেকেই রাজশাহীতে কমছে তাপমাত্রা। ফলে শীত অনুভূত হচ্ছে। শীতের তীব্রতা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে যার কারনে গরম কাপড়ের দোকানে দেখা যাচ্ছে ক্রেতাদের ভিড়।
রোববার সকাল থেকেই নগরীর ফুটপাত ও অস্থায়ী ভ্রাম্যমাণ কাপড়ের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের উপস্থিতি দেখা যায়। নগরীর আদালত চত্বরে ফুটপাতে দেখা গেছে পুরাতন গরম কাপড়ের দোকানে ক্রেতাদের ভিড়। তবে বিক্রেতারা বলছে বিক্রির চেয়ে দেখছে বেশি, শীত আরেকটু বাড়লে বিক্রি বাড়বে। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ বিক্রেতারা তুলনামূলক বেশি দাম চাচ্ছে কাপড়ের।
এছাড়াও নগরীর বিভিন্ন দোকানগুলোতে বাহারি রঙ ও ডিজাইনের শীতের পোশাক দেখা যাচ্ছে। থরে থরে সাজিয়ে রাখা হয়েছে বিভিন্ন সাইজ ও মানের জ্যাকেট, সোয়েটার, ব্লেজার, হুডি, মেগি হাতা জ্যাকেট, মোটা কাপড়ের টি-শার্ট, মাফলার, কানটুপিসহ হরেক রকমের শীতবস্ত্র।
তবে ফুটপাতগুলোতে হুডি, সোয়েটার, জ্যাকেট মোটা কাপড়ের টি-শার্ট বেশি বিক্রি হচ্ছে। রোববার বিকেলে নগরীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্ট, শিরোইল, মনিচত্বর এলাকার দোকানগুলোতে শীতের কাপড় কিনতে ক্রেতাদের ভিড় দেখা গেছে। বিক্রেতারা বলছেন, এখন আস্তে আস্তে শীত বেশি পড়বে। তাই অনেকেই শীতের কাপড় আগেই কিনে নিচ্ছেন।
শীতের কাপড় কিনতে আসা রিমা আক্তার বলেন, শীত বাড়েছে। বাড়িতে দু’জন শিশু একজন বৃদ্ধা রয়েছেন। শীতে তাদের বাড়তি যত্ন নিতে হয়। তাই আগে থেকে প্রস্তুতি হিসেবে শীতের কাপড় কিনতে এসেছি। তবে বিক্রেতারা দাম বেশি বলছেন।
অপর ক্রেতা মোস্তাফিজুর বলেন, গত বছরের মতো দাম বললে বিক্রেতারা কাপড় দিচ্ছে না। তারা আরও বেশি দাম চাচ্ছেন। গতকাল এসেছিলাম, কিন্তু দাম মোটামুটি কম ছিল। অথচ আজ তারা বেশি দাম বলছে।
বিক্রেতারা বলেন, শুক্রবার থেকে শীতের কাপড় বিক্রি বেড়েছে। দোকানগুলোতে তুলনামূলক ক্রেতা বেশি আসছেন। তাদের কাছে বেশি বিক্রি হয়েছে জ্যাকেট ও হুডি। তাদের দাবি, এখন থেকে বেশি শীত পড়তে শুরু করবে তাই তাদের বিক্রিও ভালো হবে।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে, বৃষ্টিপাতের পরে রাজশাহীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বাড়লেও কমেছে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কমায় বেড়েছে শীত।

