অনলাইন ডেস্ক : ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার রাফাতে সুড়ঙ্গের ভেতর আটকে আছেন সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের ১০০ থেকে ২০০ যোদ্ধা। গত মাসে দখলদার ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হলেও এসব যোদ্ধা বের হতে পারেনি।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) জানিয়েছে, ইসরায়েলি নিয়ন্ত্রণাধীন রাফাতে যেসব হামাস যোদ্ধা আটকে আছেন তাদের ছেড়ে দিতে ইসরায়েলকে চাপ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
সংবাদমাধ্যমটিকে মধ্যপ্রাচ্যের এক কূটনীতিক গত বুধবার এ তথ্য জানান।
তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এসব যোদ্ধার মাধ্যমে তার পাইলট প্রকল্প চালু করতে যান। যেখানে হামাস যোদ্ধারা তাদের অস্ত্র জমা দেওয়ার মাধ্যমে গাজা ছাড়তে পারবে। অস্ত্র জমা দিলে তাদের কোনো ধরনের ক্ষতি করা হবে না।
মার্কিনিদের প্রস্তাব অনুযায়ী— হামাস যোদ্ধারা তাদের অস্ত্র কিরাত গাতে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন একটি বেসামরিক-সামরিক সরকারের কো-অর্ডিনেশন সেন্টারে জমা দেবে। অস্ত্র দেওয়ার পর তাদের গাজা ছেড়ে তৃতীয় কোনো দেশে নিরাপদে যেতে দেওয়া হবে। অথবা হামাসের নিয়ন্ত্রণাধীন গাজার অঞ্চলগুলোতে তাদের ঠেলে দেওয়া হবে।
মধ্যপ্রাচ্যের ওই কূটনীতিক জানিয়েছেন, ইসরায়েল এবং তুরস্কের সঙ্গে এ ব্যাপারে গভীরভাবে আলোচনা করছে যুক্তরাষ্ট্র।
ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রের এ প্রস্তাব সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেনি। তবে তারা সব যোদ্ধাকে ছেড়ে দিতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে। দখলদাররা বলছে আটকে পড়া হামাস যোদ্ধাদের কেউ কেউ ইসরায়েলিদের ওপর হামলায় জড়িত। ফলে যদি তারা জীবিত থাকতে চায় তাহলে তাদের ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করতে হবে।
গত মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুদ্ধবিরতি চুক্তির যে ২০ দফা ঘোষণা করেছিলেন। সেটির ৬ নম্বর দফায় বলা হয়েছে, যেসব হামাস যোদ্ধা অস্ত্র সমর্পণ করে ইসরায়েলিদের সঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে বাস করতে চায় তাদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা হবে।
সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল

