অনলাইন ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার সঙ্গে ২০২৬ বিশ্বকাপের অন্যতম আয়োজক মেক্সিকো। দেশটির আজতেকা স্টেডিয়ামে বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ এই প্রতিযোগিতার পর্দা উঠবে। বিশ্বের প্রথম ভেন্যু হিসেবে তিনটি বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচ আয়োজন করতে যাচ্ছে এই ভেন্যু। এর আগে ১৯৭০ ও ১৯৮৬ বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচও আজতেকায় হয়েছিল। আসন্ন বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নিয়ে সম্প্রতি কথা বলেছেন মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লদিয়া শেইনবাউম।
মেক্সিকোর রাষ্ট্রপ্রধানের তথ্যমতে– মেস্কিকো সিটি বিমানবন্দর সংস্কারে ফেডারেল সরকার ৯ বিলিয়ন পেসোস (৪৮৯ মিলিয়ন ডলার) বিনিয়োগ করেছে। ক্লদিয়া শেইনবাউম বলেন, ‘এবার কেবল সেরা সকার টুর্নামেন্ট আয়োজন–ই নয়, বিশ্বের দরবারে আমরা নিজেদের সামর্থ্যের প্রমাণ দেবো। মেক্সিকো সাংস্কৃতিক দিক থেকে কতটা সমৃদ্ধ এবং ঐতিহাসিক মুহূর্তের অভিজ্ঞতা দিতে পারে তার প্রদর্শনীও হবে।’
মেক্সিকো সিটির আজতেকা স্টেডিয়ামে হবে ২০২৬ বিশ্বকাপের জমকালো উদ্বোধনী। তবে সেখানে নিজে উপস্থিত না থেকে খরচ বহন করতে পারবে না, এরকম কোনো মেয়ে ফুটবলভক্তকে তার টিকিট দিয়ে দিতে চান মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট। স্বভাবতই আয়োজক হিসেবে ক্লদিয়ার টিকিটটি হবে এক নম্বর এবং দাম, মান ও মর্যাদায় দিক থেকে অনেক বেশি দামী। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি। নিজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের টিকিট আমি কোনো মেয়েকে উপহার দেবো, যে ওই অনুষ্ঠানে থাকার সুযোগ পাচ্ছে না এবং ফুটবলকে ভালোবাসে।’
গত আগস্টে মেক্সিকোয় বিশ্বকাপের প্রস্তুতি দেখতে ভ্রমণ করেছিলেন ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। ওই সময়ও দেশটির প্রেসিডেন্ট ক্লদিয়া নিজের টিকিট ব্যবহার না করার কথা জানিয়েছিলেন। ১১ জুন পর্দা উঠবে বিশ্বকাপের, সেদিন মাঠে তার পরিবর্তে দেখা যেতে পারে অন্য কোনো নারী ফুটবলভক্তকে। ক্লদিয়া বলছেন, ‘আমরা তাকে কীভাবে বেছে নেব সেই সিদ্ধান্ত নিচ্ছি, টিকিটটির নম্বর ০০০০১, এমন কোনো মেয়ে পাবে যে ফুটবল নিয়ে স্বপ্ন দেখতে পারে।’
গত বছর মেক্সিকোর প্রথম কোনো নারী প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন ক্লদিয়া শেইনবাউম। বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে তিনি মন্টেরি, উত্তর মেক্সিকো এবং পশ্চিমাঞ্চলের গুয়াদালাজারায় নতুন প্রজেক্ট হাতে নেওয়ার কথা জানিয়েছেন। যদিও কোথায় কত বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে তা খোলাসা করেননি ক্লদিয়া। তবে তার তথ্যমতে– আসন্ন কয়েক সপ্তাহের মাঝে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হবে। প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের অধীনে আজতেকা স্টেডিয়ামেও সংস্কার কাজ চলছে। যেখানে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের তৃতীয় উদ্বোধনী ম্যাচ হতে যাচ্ছে।
মেক্সিকোর তিনটি শহরে হবে বিশ্বকাপের ম্যাচ। সবমিলিয়ে ৫.৫ মিলিয়ন দর্শক সেখানে উপস্থিত হতে পারে বলে প্রত্যাশা ক্লদিয়ার, ‘এটি অনেক বিশেষ একটি মুহূর্ত হতে যাচ্ছে, যেখানে অর্থনৈতিক বিষয়াদিও জড়িত। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত হয়ে উঠব।’

