স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীর পুঠিয়ায় তিন বছর আগে সংঘটিত এক হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ঠুনকো একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে ২০২১ সালের ১৩ জুলাই পুঠিয়ার পূর্ব ধোপাপাড়া কারিগরপাড়া মাঠে হত্যা করা হয় আতেকা বেগম (৫০) নামের ওই নারীকে।
হত্যাকাণ্ডের প্রায় তিন বছর পর গত মঙ্গলবার (১৩ মে) উত্তম কুমার সরকার (৩৭) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই। পরদিন আদালতে তিনি দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। গ্রেপ্তার উত্তম পূর্ব ধোপাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মৃত সন্তোষ কুমার সরকারের ছেলে।
রোববার (১৮ মে) পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছেন রাজশাহী জেলা ও মহানগর পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার (এসপি) মনিরুল ইসলাম।
তিনি জানান, আতেকা বেগম হত্যার পর তার ছেলে আতিকুর রহমান অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে একটি মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করেন রাজশাহী পিবিআইয়ের উপপরিদর্শক (এসআই) মতিউর রহমান।
মনিরুল ইসলাম জানান, হত্যাকাণ্ডের দুই মাস আগে আতেকার জমির ওপর দিয়ে ট্রলি গাড়ি চালানোর সময় আতেকা বেগম উত্তমকে গালিগালাজ করেন। তখন থেকেই উত্তম তাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।
হত্যার দিন, ২০২১ সালের ১৩ জুলাই বিকেলে আতেকা বেগম ছাগল চরাতে কারিগরপাড়া মাঠে গেলে সেখানে তাকে একা পেয়ে উত্তম একটি বাঁশের মুগর দিয়ে মাথায় আঘাত করেন। আতেকা মাটিতে পড়ে গেলে উত্তম আতেকার হাতের হাঁসুয়া ছিনিয়ে নিয়ে গলা কেটে তাকে হত্যা করেন। এরপর পালিয়ে যান তিনি। পরদিন পুলিশ আতেকার মরদেহ উদ্ধার করে। তবে এতদিনেও হত্যাকাণ্ডের কোনো কুলকিনারা পাওয়া যায়নি।
মনিরুল ইসলাম জানান, অবশেষে গত ১৩ মে পুঠিয়ার মোল্লাপাড়া গ্রামের একটি ইটভাটা থেকে উত্তম কুমার সরকারকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হত্যার কথা স্বীকার করেন এবং পরদিন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে আদালতের আদেশে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।