রাবি প্রতিনিধি : প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা কার্যকরসহ আট দফা দাবি জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ। শনিবার (১৬ আগস্ট) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন’স কমপ্লেক্সের শিক্ষক লাউঞ্জে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা এসব দাবি জানান।
দাবিগুলো হলো- ভর্তিতে প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা পুনর্বহাল, ক্যাম্পাসের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ,শিক্ষার্থী-শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আবাসন সমস্যা সমাধান, পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন, শিক্ষকদের জন্য ব্যক্তিগত চেম্বার বরাদ্দ ও গবেষণার জন্য অর্থ বৃদ্ধি, সুদমুক্ত ঋণের ব্যবস্থা, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাপ্তরিক পরিবেশ উন্নয়ন এবং দুর্নীতিবাজ ও নিপীড়কদের দ্রুত বিচার নিশ্চিতকরণ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি ও অ্যাগ্রোনোমি অ্যান্ড এগ্রিকালচার এক্সটেনশন বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল আলীম। তিনি বলেন, “জুলাই ২০২৪-এর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে রূপ নেয়। ৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদী হাসিনা সরকারের পতনের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ১৫ বছরের গুম-খুন, জুলুম-নির্যাতনের অবসান ঘটে। তবে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার এক বছর পার হলেও জনগণের প্রত্যাশা পূরণে তেমন অগ্রগতি হয়নি।”
তিনি আরও বলেন , দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় যেমন ঢাকা, চট্টগ্রাম, জাহাঙ্গীরনগর, শাহজালাল ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে এই সুবিধা বহাল আছে। তাই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ও এর বাইরে থাকতে পারে না।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অফিসার সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মোক্তার হোসেন,অফিসার কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মাসুদ রানা, প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ আমিরুল ইসলাম, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মো. কামরুল হাসানসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।
এর গত বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) পোষ্যকোটা পুনর্বহালসহ অন্যান্য প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা বাস্তবায়নের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন-১ ঘেরাও করে দুই ঘন্টার কর্মবিরতি ও অবস্থান ধর্মঘট পালন করেছিলেন তাঁরা। সেখান থেকে প্রশাসনকে দুইদিনের আল্টিমেটাম দিয়ে কর্মবিরতি স্থগিত করেন।