স্টাফ রিপোর্টার, পুঠিয়া : রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর ট্রাফিক মোড় চত্বরে সর্বস্তরের শিক্ষক সমাজের উদ্যোগে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকাল ১০টায় আয়োজিত এই কর্মসূচিতে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জাতীয়করণ, ২০% বাড়িভাড়া, ১৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা, কর্মচারীদের ৭৫% উৎসব ভাতা এবং ঢাকায় আন্দোলনরত শিক্ষকদের ওপর পুলিশি নির্যাতনের প্রতিবাদ জানানো হয়। উক্ত সভায় পুঠিয়া, দুর্গাপুর, চারঘাট, বাঘা উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন এবং গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করেন।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন, বানেশ্বর শহীদ নাদের আলী বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ নুহুল আমিন। অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে সঞ্চালনা করেন শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম ও আশরাফুল ইসলাম।
প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন, আদর্শ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ও রাজশাহী জেলা বৈষম্য বিরোধী শিক্ষক-কর্মচারী ফোরামের আহ্বায়ক মোঃ সিরাজুল হক। তিনি বলেন, “শিক্ষক সমাজ বছরের পর বছর ধরে অবহেলিত। আমরা ন্যায্য দাবি আদায়ে রাজপথে নেমেছি, প্রয়োজনে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।” আরও বক্তব্য রাখেন, রাজশাহী জেলা বৈষম্য বিরোধী-শিক্ষক-কর্মচারী ফোরামের যুগ্ম আহবায়ক মোঃ মোশারফ হোসেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বেলপুকুর আইডিয়াল ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ আঃ হামিদ, জিয়া পরিষদের পুঠিয়া উপজেলার আহ্বায়ক মোঃ নাজমুল হোসেন মুক্তা, ফোরামের সভাপতি মোঃ শেখ ইব্রাহিম বাবু, শলুয়া কলেজের উপাধ্যক্ষ মোঃ আবু মিল্লাত দুলু, বেলপুকুর আইডিয়াল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডঃ আব্দুল মান্নান, বালেশ্বর ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজাদ আলী।
এছাড়া আরও বক্তব্য দেন চারঘাট আলহাজ্ব আঃ হাদী কলেজের প্রভাষক মোছাঃ নার্গিস আতুন, জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের আহ্বায়ক মোঃ জিয়াউর হক রতন, শলুয়া ডিগ্রী কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোঃ বাবুল হোসেন, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ রফিকুল ইসলাম, নন্দনগাছি ডিগ্রী কলেজের সহকারী অধ্যাপক ডঃ মাসাদুজ্জামান এবং উপদেষ্টা গোলাম কিবরিয়া টুটুল সহ অন্যান্য শিক্ষক নেতৃবৃন্দ। অনুষ্ঠানে সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুল মতিন।
বক্তারা শিক্ষক সমাজের অধিকার রক্ষা, শিক্ষা ব্যবস্থার গুণগত মানোন্নয়ন, জাতীয়করণ এবং রাজনৈতিক প্রভাব মুক্ত শিক্ষাঙ্গন গঠনের বিষয়ে আলোচনা করেন। বক্তারা দাবি আদায়ে সরকারের প্রতি দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান। সভার মূল উদ্দেশ্য ছিল শিক্ষক সমাজের অধিকার, জাতীয়করণ এবং শিক্ষাক্ষেত্রে গঠনতান্ত্রিক উন্নয়নের দাবিগুলো তুলে ধরা। সমাবেশে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা অংশগ্রহণ করেন এবং শিক্ষকদের মর্যাদা ও ন্যায্য অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।