অনলাইন ডেস্ক : বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে অতি আগ্রহ দেখানো প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘তিনি কবে ফিরবেন— সেটা তার ও তার পরিবারের সিদ্ধান্ত। এ নিয়ে আলোচনা করে কোনো লাভ নেই।’
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে ‘ফিউচার বাংলাদেশ চ্যালেঞ্জ ২০২৫’-এর গ্র্যান্ড ফিনাল অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে তিনি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কয়েক দিনের মধ্যেই তারেক রহমান দেশে ফিরছেন, এমন আলোচনার বিষয়ে সাংবাদিকেরা জানতে চাইলে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আমার এ রকম কিছু জানা নেই। ও রকম কোনো কিছু আমাদের কালকে মিটিংয়েও আলোচনা হয়নি।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তারেক রহমানের শিগগিরই দেশে ফেরা নিয়ে যে আলোচনা চলছে, সে বিষয়ে জানতে চাইলে আমীর খসরু জানান, ‘আমার এ রকম কিছু জানা নেই। ও রকম কোনো কিছু আমাদের কালকে মিটিংয়েও আলোচনা হয়নি।’
সরকারের পক্ষ থেকে তারেক রহমানকে ট্রাভেল ভিসা দেওয়ার কথা কেন বলা হচ্ছে, জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘আমার জানা নেই। সরকার কেন বলছে, সেটা আমি বলতে পারব না। এ বিষয়ে আমি ঠিক জানি না। সুতরাং আমি কমেন্ট করতে পারব না সেটার ব্যাপারে। যারা বলছে, তাদের জিজ্ঞেস করলে ভালো হয়।’
এখন তারেক রহমান দেশে না এলে সামনের নির্বাচনে প্রভাব পড়বে কি না, জানতে চাইলে আমীর খসরু বলেন, ‘রাজনীতি এত সহজে প্রভাব পড়ার কোনো বিষয় নয়। বিএনপি একটি সবচেয়ে জনপ্রিয় দল। মানুষের আস্থা নিয়ে রাজনীতি করে। বাংলাদেশের মানুষের আস্থা বিএনপি। বিএনপির নেতৃত্ব দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমান এবং জিয়াউর রহমান সাহেবের প্রতি আস্থা আছে। এটা বাংলাদেশের মানুষ যখনই সুযোগ পেয়েছে, তখনই প্রমাণ করেছে। ইনশা আল্লাহ, আগামী দিনেও প্রমাণ করবে।’
খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির টুইট করার বিষয়ে জানতে চাইলে আমীর খসরু বলেন, নরেন্দ্র মোদি একা নন, বিশ্বের বিভিন্ন জায়গা থেকে অনেকে তাঁর সুস্থতা কামনা করেছেন। খালেদা জিয়া বাংলাদেশের জনগণের জন্য কী করেছেন, গণতন্ত্রের জন্য কী করেছেন, এটা আজ সর্বস্বীকৃত। এটা সারা বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি পাচ্ছে। একজন রাজনীতিবিদের জন্য এর চেয়ে বড় পাওনা আর কিছু থাকে না।-ইত্তেফাক
