স্টাফ রিপোর্টার : চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে হারানো গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে যুবসমাজের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল বলে মন্তব্য করেছেন রাজশাহী জেলা বিএনপির সদস্য মো. রায়হানুল আলম রায়হান। তিনি বলেন, অভ্যুত্থানের এক বছর পেরিয়ে গেলেও দেশ এখনো রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, দুর্নীতি ও আন্তর্জাতিক ভূরাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের মধ্যে নিমজ্জিত।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) বিকেলে রাজশাহীর পবা উপজেলার বায়া বাজারে যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রায়হান বলেন, “দেশের বর্তমান সংকট থেকে উত্তরণে কর্তৃত্ববাদী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, দেশের উন্নয়ন ও নিজেদের অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে যুবসমাজকে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “গত ১৭ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ সরকার গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও দেশের সার্বভৌমত্ববিরোধী শক্তি হিসেবে কাজ করছে। বিরোধীদল ও সাধারণ মানুষের ওপর গুম, খুন, মামলা ও নির্যাতনের মাধ্যমে তারা একদলীয় শাসন কায়েম করেছিল। ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থা দেশের ১৮ কোটি মানুষকে দমন-নিপীড়নের মাধ্যমে জিম্মি করে রেখেছিল।”
যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য রায়হান আরও বলেন, “যুবদল প্রতিষ্ঠার পর থেকেই গণতন্ত্র রক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে যুবদল সবসময় জনগণের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে সামনের সারিতে থেকেছে। বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে যুবদলের প্রতিটি নেতা-কর্মীকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে অংশ নিতে হবে।”
তরুণ সমাজের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “দেশের তরুণরা আজ বেকারত্ব, মাদকাসক্তি ও হতাশায় ভুগছে। সরকারের অব্যবস্থাপনা, দুর্নীতি ও স্বৈরাচারী নীতির কারণে তারা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। এই সংকটে যুবদলই পারে তরুণদের সংগঠিত করে নতুন নেতৃত্ব তৈরি করতে এবং গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ পুনর্গঠনে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে।”
রায়হান আরও বলেন, “শুধু সভা-সমাবেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না। রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা নিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে যেতে হবে, তাঁদের দুঃখ-দুর্দশার কথা জানতে হবে। পাশাপাশি বৃহৎ জনগোষ্ঠীর যুবসংগঠনগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।”
পরে রায়হানের নেতৃত্বে বিএনপি নেতা-কর্মীরা জনগণের হাতে বিএনপির ঘোষিত ৩১ দফা রূপরেখা সম্বলিত লিফলেট বিতরণ করেন এবং সাধারণ মানুষের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। পাশাপাশি, তাঁরা আগামী দিনে একটি গণতান্ত্রিক ও উন্নয়নশীল বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন- পবা উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মোস্তাক আহমেদ।
বক্তব্য রাখেন পবা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলী হোসেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পারিলা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি খায়রুল ইসলাম, ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক রেজাউল করিম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক সোহেল রানা হিটলারসহ স্থানীয় বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী।

