হেলাল উদ্দীন, বাগমারা : রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার লাউবাড়িয়া স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগে একাধিকবার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলেও হয়নি নিয়োগ। নির্ধারিত তারিখ পার হয়ে গেলেও নিয়োগ দেয়নি কর্তৃপক্ষ। নিয়োগ প্রক্রিয়া না হলেও গোপনে যেন ওই প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ বোর্ড গঠন করতে না পারে সে কারণে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে আবেদনকারীরা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে দাখিলকৃত আবেদন সূত্রে জানা যায়, উপজেলার লাউবাড়িয়া স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসায় প্রধান শিক্ষক এবং সহকারী শিক্ষক পদে একাধিকবার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। উক্ত দুই পদে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সহ ব্যাংক ড্রাফটের মাধ্যমে সভাপতি বরাবর আবেদন করে চাকরি প্রত্যাশীরা। নির্ধারিত সময় পার হয়ে গেলেও নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারেননি প্রতিষ্ঠানের সভাপতি।
সময় পার হয়ে যাওয়ায় গোপনে পছন্দের ব্যক্তিকে নিয়োগ দেয়ার পাঁয়তারা করছেন সভাপতি। গোপনে যাতে এ নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে না পারে সেজন্যে আবেদনকারীরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট নিয়োগ বন্ধের লক্ষ্যে আবেদন করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রধান শিক্ষক এবং সহকারী শিক্ষক পদে আবেদনকারীদের নিকট থেকে পাঁচশত টাকা করে প্রতি পদের জন্য ব্যাংক ড্রাফট জমা নেয়। উভয় পদে ১৫ জন আবেদন করেন। ২০১৮ সালের জনবল কাঠামো অনুযায়ী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। বর্তমানে পূর্বের নীতিমালা বাতিল করে নতুন নীতিমালা প্রণয়ন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সে কারণে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারছেন না সভাপতি।
এদিকে আবেদনকারীরা বারবার সভাপতির সাথে এ বিষয়ে যোগাযোগ করলেও তিনি কোন সদউত্তর দিতে পারেননি বলে আবেদনকারীরা জানান।
কয়েকজন আবেদনকারী বলেন, প্রতিষ্ঠানের সভাপতি গোপনে তার পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগ দেয়ার চেষ্টা করছেন। পাশাপাশি ব্যাকডেটে নিয়োগ বোর্ড সম্পন্ন করবেন বলে জানতে পারি। অথচ আমরা আবেদন করলেও আমাদের জন্য কোন নিয়োগ বোর্ড গঠন করা হচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়ে উক্ত প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত করার জন্য আবেদন করেছি আমরা।
এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ইয়াদ আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি সভাপতি থাকা অবস্থায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিলাম কিন্তু এখন আমি আর সভাপতি নেই। তবে সে সময় নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়নি। এখন যারা আসবে তারাই নিয়োগ দিবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আবেদন পাওয়া গেছে তদন্ত করে প্রয়োজনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।