রাবি প্রতিনিধি : তরুণ প্রজন্মের মেধা, সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনী চিন্তা বিকাশে ইউনাইটেড ন্যাশনস ইয়ুথ অ্যান্ড স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইউনিস্যাব) আয়োজনে ‘ন্যাশনাল ট্যালেন্ট ফেস্ট ২০২৫’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৮ নভেম্বর) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত গ্র্যান্ড ফিনালে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আগত শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ক্যাম্পাস রূপ নেয় এক প্রাণবন্ত উৎসবে।
মূল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় তিনটি বিভাগে— বিজনেস কেস কম্পিটিশন, প্রমো অ্যাড মেকিং এবং ক্রিয়েটিভ কনটেন্ট রাইটিং। প্রতিটি বিভাগে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা সৃজনশীলতা, দক্ষতা, দলগত সমন্বয় এবং নতুন ধারণা উপস্থাপনের মাধ্যমে নিজেদের প্রতিভা তুলে ধরেন। একাধিক বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়ে আলোচনায় আসে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘টিম ঝালমুড়ি’।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ–উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা ড. মো. আমিরুল ইসলাম, ব্যবস্থাপনা বিভাগের ড. মো. জহুরুল আনিস, ইউনিস্যাবের সভাপতি আমেনা রশিদ বানিয়া এবং বিশ্বব্যাংকের প্রোগ্রাম কো–অর্ডিনেটর ও ইউনিস্যাব ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য মোহাম্মদ মামুন মিয়া।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে উপ–উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন বলেন, শিক্ষার্থীদের দক্ষতা ও সৃজনশীলতা বিকাশে এ ধরনের উৎসব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে একাডেমিক জ্ঞানের পাশাপাশি কো–কারিকুলার কার্যক্রমে সক্রিয় অংশগ্রহণ নেতৃত্বগুণ ও বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জনে সহায়তা করে।
বিজনেস কেস কম্পিটিশন ও প্রমো অ্যাড মেকিং— দুই বিভাগেই চ্যাম্পিয়ন হয় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘টিম ঝালমুড়ি’। বিজনেস কেস কম্পিটিশনে প্রথম রানারআপ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘টিম হাই টেবিল’ এবং দ্বিতীয় রানারআপ ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘টিম রেড মার্কড’। প্রমো অ্যাড মেকিং বিভাগে প্রথম রানারআপ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘টিম অ্যাডজাস্ট মেড’ এবং দ্বিতীয় রানারআপ ‘টিম গ্রিফিন্ডরস’।
ক্রিয়েটিভ কনটেন্ট রাইটিং বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শরিফাতুন্নেছা। প্রথম রানারআপ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নোসাইবা নৌরিন এবং দ্বিতীয় রানারআপ বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) মোহাম্মদ জুনাইদুল ইসলাম।
ফেস্টের আয়োজনকে সফল করতে টাইটেল পার্টনার ছিল বায়ো-জিন, সাসটেইনেবিলিটি পার্টনার চন্দ্রকলি, এবং পিআর পার্টনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছে বার্লো কমিউনিকেশনস লিমিটেড। পাশাপাশি পার্টনার হিসেবে সহযোগিতা করেছে এসএমই ফাউন্ডেশন, মারিকো বাংলাদেশ, এনআইটি গ্লোবাল একাডেমি, রেডিও পদ্মা ৯৯.২ এফএম, বোম্বে সুইটস ও রেডিও কার্নিভাল।
উৎসবে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা জানান, ন্যাশনাল ট্যালেন্ট ফেস্ট তাদের সৃজনশীল চিন্তা, দলগত কাজ এবং উপস্থাপন দক্ষতা উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা রেখেছে। আয়োজক ইউনিস্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই আয়োজন তরুণদের নেতৃত্ব, উদ্ভাবনী চিন্তা এবং প্রতিভার বিকাশ জাতীয় পর্যায়ে তুলে ধরতে সহায়তা করেছে। আগামী বছর আরও বড় পরিসরে আয়োজনের পরিকল্পনাও জানায় সংগঠনটি।

