নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

ঢাকা বৃহস্পতিবার। বিকাল ৩:১১। ১০ জুলাই, ২০২৫।

ঢাকায় ফ্ল্যাট পাচ্ছেন জুলাইয়ে আহতরা, ব্যয় ১,৩৪৪ কোটি টাকা

জুলাই ৯, ২০২৫ ১১:০০
Link Copied!

অনলাইন ডেস্ক : জুলাই গণ-অভ্যুত্থনে গুরুতর আহত ব্যক্তিদের জন্য ঢাকায় বিনামূল্যে ফ্ল্যাট দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। মিরপুর ৯ নম্বরে সরকারি জমিতে তৈরি করা হবে ১,৫৬০টি আবাসিক ফ্ল্যাট, যা হস্তান্তর করা হবে আহত ব্যক্তিদের মধ্যে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ১,৩৪৪ কোটি টাকা। অর্থায়ন করবে সরকার নিজেই।

জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ এসব ফ্ল্যাট নির্মাণ করবে। প্রতিটি ফ্ল্যাটের আয়তন হবে ১,২৫০ বর্গফুট, যেখানে থাকবে দুটি শয়নকক্ষ, ড্রয়িংরুম, লিভিংরুম, খাবার কক্ষ, রান্নাঘর এবং তিনটি শৌচাগার। গুরুতর আহত ব্যক্তি বা পঙ্গুদের জন্য থাকবে আলাদা কক্ষ, যাতে থাকবে চলাচল ও ব্যবহারে বিশেষ সুবিধা।

আরও পড়ুনঃ  রাজশাহীতে ফটোসাংবাদিকদের আলোকচিত্র প্রদর্শনীর পুরস্কার বিতরণ

প্রকল্প বিষয়ে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. নুরুল বাসির জানান, এখন তাদের প্রধান অগ্রাধিকার অবকাঠামো নির্মাণ। চার বছরের মধ্যে ভবন নির্মাণ শেষ করার লক্ষ্য রয়েছে। কারা ফ্ল্যাট পাবেন, তা জুলাই অধিদপ্তর, গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের যৌথ সিদ্ধান্তে ঠিক করা হবে।

এর আগেই জুলাই শহীদ পরিবার-এর জন্য আলাদা একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। মিরপুর ১৪ নম্বরে নির্মিতব্য ৮০৪টি ফ্ল্যাটে খরচ হবে ৭৬২ কোটি টাকা। প্রতিটি ফ্ল্যাটের আয়তন ১,৩৫৫ বর্গফুট।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্পের জন্য নির্ধারিত জমিটি অনেকটা নিচু হওয়ায় অতীতে সেখানে বহুতল ভবন নির্মাণ সম্ভব হয়নি। এবার ভরাটে খরচ হবে আনুমানিক ১২ কোটি টাকা। যদিও সরকারের নীতিমালায় বলা আছে, ৫০ কোটি টাকার ঊর্ধ্বে প্রকল্প নিলে আগে সমীক্ষা করতে হয়। কিন্তু এই প্রকল্পে সমীক্ষা হয়নি।

আরও পড়ুনঃ  ১০ জুলাই এসএসসি ফল প্রকাশের সম্ভাবনা, চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষা

সরকারি তালিকায়, ৪৯৩ জনকে ‘অতি গুরুতর আহত’ এবং ৯০৮ জনকে ‘গুরুতর আহত’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সব মিলিয়ে গুরুতর আহতের সংখ্যা ১,৪০১ জন।

জুলাই আন্দোলনে ১৯ জন পুরোপুরি দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন, আর ৩৮২ জন হারিয়েছেন একটি চোখ। কেউ কেউ পা হারিয়েছেন। তাই ভবনের ডিজাইন এমনভাবে করা হচ্ছে, যাতে পঙ্গু ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা সহজে চলাফেরা করতে পারেন।

আরও পড়ুনঃ  বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে শিক্ষা হলো অন্যতম পথ -শিক্ষা উপদেষ্টা

৭ জুলাই পরিকল্পনা কমিশনে অনুষ্ঠিত প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভায় প্রকল্পটি নিয়ে আলোচনা হয়। সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, চলতি জুলাই মাসেই জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় দুটি প্রকল্পই চূড়ান্ত অনুমোদন পাবে। ২০২৯ সালের মধ্যে উভয় প্রকল্পের কাজ শেষ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।-ইত্তেফাক

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল সময়ের কথা ২৪ লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন somoyerkotha24news@gmail.com ঠিকানায়।