নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

ঢাকা সোমবার। দুপুর ১:৩১। ১৪ জুলাই, ২০২৫।

সাত বছরের মেয়েকে হত্যার পর বস্তাবন্দি করে পালাল সৎমা

জুলাই ১৩, ২০২৫ ১১:০৬
Link Copied!

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার কুটিরচর গ্রামে হাজেরা খাতুন (৭) এক শিশুকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে সৎমায়ের বিরুদ্ধে। রোববার (১৩ জুলাই) দুপুরে এ ঘটনা ঘটলেও রাতে বিষয়টি জানাজানি হয়।

নিহত হাজেরা খাতুন কুটিরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেণির শিক্ষার্থী। তার বাবার নাম হারুন অর রশীদ।

জানা গেছে, হারুন অর রশীদ পাবনার একটি মাদরাসায় শিক্ষকতা করেন। প্রায় ১০ বছর আগে হাজেরার মা দোলনা খাতুন অন্য ব্যক্তির সঙ্গে চলে যান। এরপর হাজেরা কিছু দিন মায়ের কাছে থাকেন। এরপর একটু বড় হওয়ার পর বাবার কাছে থেকে বড় হচ্ছিল। পরে হারুন অর রশীদ দ্বিতীয় বিয়ে করেন রুবি খাতুনকে। এই ঘরে আয়মান সেখ ও সালমান সেখ নামে তার যমজ শিশু সন্তান রয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  ‘অপুর সঙ্গে ভালো সম্পর্ক থাকলেই বুবলীকে এড়িয়ে চলব, এমন নয়’

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতিদিনের মতো হাজেরা স্কুল শেষে বাড়িতে ফিরে আসে এবং সরাসরি তার সৎমায়ের কাছে যায়। এরপর থেকেই তাকে আর দেখা যায়নি। তবে তার যমজ শিশু বাড়িতে আছে।

স্থানীয় বাসিন্দা শাহ আলম বলেন, আমরা শুনেছি মেয়েটি স্কুল থেকে বাড়ি এসেই সৎমায়ের কাছে গিয়েছিল। এরপর সৎমা তাকে হত্যা করে ঘরে তালা মেরে পালিয়ে যায়। দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনো খোঁজ না মেলায় সন্দেহ দেখা দেয়। পরে ঘরের ভেতরে খুঁজে একটি বালতির ভেতরে বস্তার মধ্যে হাজেরার মরদেহ পাওয়া যায়।

আরও পড়ুনঃ  মেয়ের সঙ্গে প্রথমবারের মতো গাইলেন ন্যান্সি

নিহত হাজেরার ফুপু হাসি খাতুন বলেন, জানি না এই নিষ্পাপ শিশুটি কী চেয়েছিল, যার জন্য তাকে খুন করতে হলো। ওকে মেরে ফেলে চলে গেল। আমাদের যদি জানাতো, আমরা ওকে মাদরাসায় দিয়ে দিতাম। আমরা এর বিচার চাই।

নিহত হাজেরার দাদি মনোয়ারা খাতুন বলেন, আমার নাতনির এই নির্মম হত্যার বিচার চাই। এমন অপরাধ মাফ করা যায় না।

আরও পড়ুনঃ  সারাদেশে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার আরও ১৫৬৮

এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কামারখন্দ সার্কেল) মো. রবিউল ইসলাম বলেন, আমরা শিশুটির মরদেহ বস্তাবন্দি অবস্থায় একটি বালতির মধ্যে পেয়েছি। আমরা স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি, বালিশ চাপা দিয়ে কিংবা গলা টিপে শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল সময়ের কথা ২৪ লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন somoyerkotha24news@gmail.com ঠিকানায়।