নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

ঢাকা রবিবার। রাত ১০:২৭। ৪ মে, ২০২৫।

৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা পেছাতে পরীক্ষার্থীদের অবস্থান

subadmin
এপ্রিল ৮, ২০২৫ ৫:৪২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

অনলাইন ডেস্ক : ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা আগামী ৮ মে নির্ধারণ করায় বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) কার্যালয়ে অবস্থান নিয়েছেন ক্ষুব্ধ পরীক্ষার্থীরা। তাদের দাবি, স্বল্প সময়ে পরীক্ষার নোটিশ না দিয়ে অন্তত দু’মাস আগে নোটিশ দিতে হবে। একই সঙ্গে আগামী ৮ মে ঘোষিত ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা পেছাতে হবে।

মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পিএসসি কার্যালয়ে ঢুকে পড়ে বিভিন্ন বিসিএসের পরীক্ষার্থীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে স্থানীয় থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর টহল টিম। বিকেল ৩ টার দিকে বিক্ষুব্ধ পরীক্ষার্থীদের মধ্য থেকে ৬ প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন পিএসসি চেয়ারম্যান ড. মোবাশ্বের মোনেম।

পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পিএসসি ঘোষণা করেছে আগামী ৮ মে ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা শুরু হবে। কিন্তু এদিন লিখিত পরীক্ষা দিতে ইচ্ছুক নন পরীক্ষার্থীরা। কারণ, সরকারি কর্ম কমিশন থেকে জানানো হয়েছিল— পরীক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য পিএসসির ফেসবুক পেজে জানানো হবে।

পরীক্ষার্থীরা জানান, ওই পিএসসির ফেসবুক পেজে ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার সম্ভাব্য তারিখ জানানো হয়েছিল মে মাসের শেষ সপ্তাহে। সে অনুযায়ী আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। এর মধ্যেই ঈদের আগে আমাদেরকে নোটিশ করে জানানো হয় ওই লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৮ মে। ইতোমধ্যে ৪০তম বিসিএসের ভাইভা পরীক্ষা চলছে। এছাড়া ৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে অন্তত দেড় বছর আগে। সেটার ফলাফল এখনও হয়নি। এর মধ্যে ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার আয়োজনে তড়িঘড়ি করা হচ্ছে। এ পরীক্ষার একমাস পরে আবার ৪৭তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা।

এক পরীক্ষার্থী বলেন, এক মাসের নোটিশে ৯০০ নম্বরে পরীক্ষা দেওয়া কতখানি যুক্তিযুক্ত? যেখানে ৪৭তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার দুই মাস আগে নোটিশ করা হয়েছে সেখানে ৯০০ নম্বরের পরীক্ষা দেওয়ার জন্য এক মাস আগে জানানো হলো।

পরীক্ষার্থীরা বলেন, আগামী ৮ মে পিএসসি ৪৬তম বিসিএস পরীক্ষা আয়োজনের যে নোটিশ দিয়েছে সেটিতে আমরা অংশ নিতে চাই না। ওই পরীক্ষা পিছিয়ে জুন মাসে নিতে হবে। পাশাপাশি আগামী জুন মাসের আগেই ৪০তম বিসিএসের রেজাল্ট ক্লিয়ার করতে হবে। যেন একই প্রার্থী বারবার অন্য বিসিএসগুলোতে অংশ নিতে না পারে। কারণ, একজন প্রার্থী বিভিন্ন বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন ক্যাডারে সুযোগ পাচ্ছে, অন্য পরীক্ষার্থীরা বঞ্চিত হচ্ছে। এটা পরীক্ষার্থীদের সমস্যা নয় পিএসসির সমস্যা। এসব দাবিতে আমরা আজকে পিএসসিতে এসেছি। পিএসসি চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন আমাদের ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল। ওই বৈঠকে আশা করি সঠিক সিদ্ধান্ত জানাবে পিএসসি।

বিক্ষুব্ধ এক পরীক্ষার্থী বলেন, এর আগেও আমরা পিএসসি চেয়ারম্যানের কাছে গিয়েছি। আজ সকালে তিনি কালের কণ্ঠের কাছে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন। এটার আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। পিএসসি চেয়ারম্যান কালের কণ্ঠকে বলেছেন— নিচে যারা অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করছেন তারা বিসিএসের পরীক্ষার্থী নয় বা তারা দুর্বল পরীক্ষার্থী ও অযোগ্য। পিএসসির মতো জায়গায় সর্বোচ্চ পজিশনে থেকে এ ধরনের কথা কোনোভাবেই মানা যায় না। প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষার সিলেবাস নাকি এক। বিষয়টা হাস্যকর। এই কথা তিনি কীভাবে পিএসসি চেয়ারম্যান হয়ে বলতে পারেন। যদি তাই হয় তাহলে লিখিত নেওয়ার দরকার কী, প্রিলিমিনারি দিয়েই তো চাকরি দিয়ে দিতে পারেন। তার এ ধরনের বক্তব্য আমরা প্রত্যাখ্যান করছি এবং তাকে বক্তব্য প্রত্যাহার করে নিতে হবে।

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ৪৪তম বিসিএসের ভাইভা পরীক্ষার্থী মো. আবিদুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, ২২ এপ্রিল ৪৪তম বিসিএসের ভাইভা। আবার ৮ মে ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা। জুনে আবার ৪৭তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা। সেক্ষেত্রে আমি মাত্র দুই সপ্তাহের কম সময় পাচ্ছি। যা রীতিমতো জুলুম ও অন্যায়। এ রকম অনেক পরীক্ষার্থী আছেন যাদের একই দিনে ভাইবা ও লিখিত পরীক্ষার তারিখ পড়েছে। পিএসসির এমন সিদ্ধান্ত মেধাবীদের সঙ্গে বঞ্চনার শামিল।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল সময়ের কথা ২৪ লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন somoyerkotha24news@gmail.com ঠিকানায়।