নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

ঢাকা বৃহস্পতিবার। ভোর ৫:৩৬। ৮ মে, ২০২৫।

নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে নারীর পাশে দাঁড়ানোর কোন বিকল্প নেই : শারমীন এস মুরশিদ

মে ৭, ২০২৫ ১২:০৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

স্টাফ রিপোর্টার : সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেছেন, নারীর প্রতি সহিংসতা, নারী নির্যাতন প্রতিরোধ করতে, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে, নারীর পাশে দাঁড়ানোর কোন বিকল্প নেই। তিনি বলেন, বর্তমান অন্তবর্তী সরকার মেয়েদের নিরাপত্তা, নিশ্চয়তা, কর্মপরিবেশ, তাদের ক্ষমতায়নে যোগ্য করে তুলতে শুধু মুখে বলেন না অন্তরেও বিশ্বাস করেন। তাই প্রাসঙ্গিকভাবে আইএলও কনভেনশন ১৯০ লিঙ্গ সমতা নিশ্চিত করা এবং কর্মক্ষেত্রে লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতা ও হয়রানি মোকাবেলায় বাংলাদেশের অঙ্গীকারের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। ফলস্রুতিতে কর্মক্ষেত্রে লিঙ্গ সমতা ও হয়রানি, মজুরি বৈষম্য এবং সীমিত আইনি সুরক্ষার মতো চ্যালেঞ্জগুলি আইএলও কনভেনশন ১৯০ অনুসমর্থনের তাগিদকে আরো স্পষ্ট করতে তোলে।

তিনি মঙ্গলবার (৬ মে) ঢাকায় স্থানীয় হোটেলে ট্রেড ইউনিয়ন ইন্টারন্যাশনাল লেবার স্ট্যান্ডার্ডস কমিটির উদ্যোগে এবং আইএলও বাংলাদেশ কান্ট্রি অফিসের সহযোগিতায় কর্মক্ষেত্রে সহিংসতা ও হয়রানি সংক্রান্ত কনভেনশন ১৯০ এর উপর সংলাপ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
সংলাপ অনুষ্ঠানে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান, আইএলও কান্ট্রি ডিরেক্টর তুওমো পাওতিয়েনেন,নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রধান শিরীন পারভীন হক, ট্রেড ইউনিয়ন ইন্টারন্যাশনাল লেবার স্ট্যান্ডার্ড কমিটির সদস্য চৌধুরী আশিকুল আলম, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ এর নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ সুলতান আহমেদসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উপদেষ্টা বলেন, মেয়েদের নিরাপত্তা, নিশ্চয়তা, সুরক্ষা দিতে পারলে মেয়েদের অনেক বেশি কর্মযোগ্য করে তুলবে কর্মক্ষেত্রে। তাদের জন্য আমরা যদি একটি নিরাপদ পরিবেশ করে দিতে না পারি তাহলে আমাদেরকে জাতির কাছে জবাবদিহি থাকতে হবে। বাংলাদেশ শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ শ্রম আইন সংশোধনের জন্য কাজ করছে, সেইসাথে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় নারীর প্রতি সকল ধরনের যৌন হয়রানি প্রতিরোধে কাজ করছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, আজকের এই কর্মশালার মূল লক্ষ্য কর্ম ক্ষেত্রে নারী ও পুরুষের অধিকার নিশ্চিত করা এবং লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতা ও হয়রানি মোকাবেলায় নীতিনির্ধারক, নিয়োগকর্তাদের সংগঠন, শ্রমিক সংগঠন, সুশীল ও নাগরিক সমাজ এবং আন্তর্জাতিক অংশীদারদের কার্যক্রম ত্বরান্বিত করার জন্য ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে কর্মশালার সুপারিশগুলো বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিতে হবে। তিনি বলেন, আমরা নতুন বাংলাদেশে নতুন করে ভাববো, নারীদের সমান সুযোগ দিয়ে কর্মক্ষেত্রের যোগ্য করে তুলতে নারী-পুরুষ সমান চোখে দেখবে। আমাদের আইনগুলো আরো সুদৃঢ় হবে, আমাদের দায়বদ্ধতা হয়তো আরও বাড়বে আমরা সবাই মিলে এ নতুন বাংলাদেশকে গড়বো এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল সময়ের কথা ২৪ লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন somoyerkotha24news@gmail.com ঠিকানায়।