অনলাইন ডেস্ক : চাঁপাইনবাবগঞ্জে সুধী সমাবেশে সামনের সারিতে জেলা কৃষক লীগ সভাপতির বসা নিয়ে সামাজিক, রাজনৈতিক ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতাকর্মীদের মধ্যে সমালোচনার ঝড় শুরু হয়েছে।
শনিবার (২৬ মার্চ) বিকেলে জেলার শহীদ সার্টু হলে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সুধী সমাবেশের আয়োজন করে জেলা পুলিশ। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী রেঞ্জের অতিরিক্ত মহা পরিদর্শক (ডিআইজি) মোহাম্মদ শাহজাহান। এ সময় মঞ্চের একেবারে সামনের সারিতে বসা ছিলেন জেলা কৃষক লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুস সামাদ বকুল।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও বিএনপি নেতা ওবায়েদ পাঠান বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার এখন পর্যন্ত কোনো আওয়ামী লীগসহ তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করেনি এবং আজকের সুধী সমাবেশে বিএনপির তেমন নেতাকর্মীদের দাওয়াত দেননি বরং আওয়ামী লীগের দোসরদের দাওয়াত দিয়েছেন। এ ছাড়া তিনি জেলার মাদক কারবারীসহ বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের সঙ্গে আঁতাত করে চলাফেরা করছেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব সাব্বির আহমেদ বলেন, প্রশাসনকে এই বিষয়ে সম্পূর্ণ দোষারোপ করা ভুল। নিজ চোখে আমরা দেখলাম কিছু কিছু রাজনীতিবিদরাও এই পুনর্বাসনের অংশ হিসেবে কাজ করছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার রেজাউল করিম বলেন, আমরা অ্যাডভোকেট আব্দুস সামাদ বকুলকে চিনিও না এবং তাকে দাওয়াত দিইনি। এটি একটি ওপেন প্রোগাম ছিল তাই তিনি হয়তো এখানে চলে এসেছেন। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, তিনি জেলা কৃষক লীগের সভাপতি। এ ছাড়া তিনি ট্রাক মালিক সমিতির সভাপতি। তাই ট্রাক মালিক সমিতির সভাপতি হিসেবে হইতো তিনি এসেছিলেন। এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য লতিফুর রহমান, বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা আহ্বায়ক আব্দুর রাহিম, সদস্য সচিব সাব্বির আহমেদ, মুখ্য সংগঠক মোত্তাসিন বিশ্বাসসহ বিভিন্ন পেশাজীবী ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।