ঢাকা সকাল ১০:২০। বুধবার ১৭ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ। ৩০শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ।
  1. অপরাধ
  2. আইন আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আবহাওয়া
  5. আরো
  6. এক্সক্লুসিভ নিউজ
  7. কবিতা
  8. কলাম
  9. কোভিড-১৯
  10. খুলনা
  11. খেলা
  12. চট্টগ্রাম
  13. চাকুরী
  14. চাঁপাইনবাবগঞ্জ
  15. জয়পুরহাট
আজকের সর্বশেষ সবখবর

নির্বাচন ডিসেম্বরের পরে নিলে সেটার কারণ ব্যাখ্যা করতে হবে: জোনায়েদ সাকি

subadmin
এপ্রিল ২৭, ২০২৫ ১১:২২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

অনলাইন ডেস্ক : জাতীয় নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস যে সময়সীমার কথা বলেছেন, তা আরও নির্দিষ্ট হওয়া দরকার বলে মনে করছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেন, ডিসেম্বরের পরে যদি নির্বাচন নিতে হয়, তাহলে কী কারণে, সেটি ব্যাখ্যা করতে হবে।

রোববার (২৭ এপ্রিল) সকালে জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে গণসংহতি আন্দোলনের বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে দুপুরে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন জোনায়েদ সাকি।

জোনায়েদ সাকি বলেন, অন্য উপদেষ্টারাও বলেছেন এই টাইমলাইনের বাইরে তারা যাচ্ছেন না। আমরা যেটা বলেছি, এই টাইমলাইন আরও নির্দিষ্ট হওয়া দরকার এবং আলোচনার মধ্য দিয়ে হওয়া দরকার। ফলে অংশীদারিদের সঙ্গে তারা বসবেন আশা করি এবং বসে ঠিক করবেন কবে নির্বাচন হবে। ডিসেম্বরের পরে যদি নির্বাচন নিতে হয়, তাহলে কী কারণে নিচ্ছে, সেটি ব্যাখ্যা করতে হবে।

জোনায়েদ সাকি বলেন, সংস্কার পরিষদ কিংবা সংস্কার সভা করতে হবে জনগণের ম্যান্ডেট (মতামত) নেওয়ার জন্য। এখন অনেকে বলছেন সংবিধান এবং সংবিধান সংক্রান্ত সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নির্বাচনের আগে না পরে হবে; আগে করার সুযোগ নেই। এটা জনগণের ম্যান্ডেড এবং একটা সংসদ ছাড়া আপনি সংবিধান বদলাতে পারবেন না। সংবিধান এবং সংবিধান সংশ্লিষ্টের বাইরে অন্যান্য প্রশাসনিক যে বিষয়গুলো আছে, সেগুলো অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাহী আদেশে করতে পারে। পরবর্তী সংসদ এবং সরকার সেগুলোকে জাস্টিফাই (ন্যায্যতা) করবে।

সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের বিষয়ে জোনায়েদ সাকি বলেন, আস্থা ভোট ও বাজেট— এ দুই বিষয় বাদে সব বিষয়ে যাতে সংসদ সদস্যরা স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারেন, সেই সুযোগ রেখে ৭০ অনুচ্ছেদ সংস্কারের কথা আমরা বলেছি। আমরা মনে করি, এটি ক্ষমতাকাঠামোর ভারসাম্য এবং সংসদকে জনগণের প্রতিনিধিত্ব করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

বিভিন্ন বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাতে গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের এবং বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে আলাপ–আলোচনা করা হবে।

সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধনের কথা বলা হয়েছে উল্লেখ করে গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল বলেন, এখন কোনো কাজই রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি ছাড়া করতে পারেন না। আমরা চাই, এই জায়গা থেকে সরে গিয়ে রাষ্ট্রপতিকে নির্দিষ্ট করে বেশ কিছু নিয়োগের ক্ষমতা প্রদান করা হোক, তাকে অনেকগুলো কাজের ক্ষমতা প্রদান করা হোক। এ বিষয়গুলো এখনো আলাপ–আলোচনার ভেতরে আছে। সামগ্রিকভাবে আইন, নির্বাহী ও বিচার বিভাগে একটা ভারসাম্য তৈরির ব্যবস্থা যাতে সংবিধানে থাকে সে দাবি জানানো হয়েছে।

গণসংহতি আন্দোলন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ১৩৮টি প্রস্তাবে একমত, ১১টি প্রস্তাবে দ্বিমত, ১৩টি প্রস্তাবে আংশিক একমত এবং ৪টি বিষয়ে কোনো মতামত দেয়নি।

অধ্যাপক আলী রীয়াজের নেতৃত্বে আলোচনায় অংশ নেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ইফতেখারুজ্জামান, সাবেক বিচারপতি এমদাদুল হক ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ঐকমত্য) মনির হায়দার।

বৈঠকে গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষে ছিলেন নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল, রাজনৈতিক পরিষদ সদস্য দেওয়ান আবদুর রশিদ, তাসলিমা আখতার, হাসান মারুফ রুমি, মনির উদ্দিন পাপ্পু, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া, জুলহাসনাইন বাবু, শ্যামলী সরকার, ইমরাদ জুলকারনাইন, তরিকুল সুজন, মুরাদ মোর্শেদসহ কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা। সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া, জুলহাসনাইন বাবু প্রমুখ।-ইত্তেফাক

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
ঢাকা অফিসঃ ১৬৭/১২ টয়েনবি সার্কুলার রোড, মতিঝিল ঢাকা- ১০০০ আঞ্চলিক অফিস : উত্তর তেমুহনী সদর, লক্ষ্মীপুর ৩৭০০