নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

ঢাকা মঙ্গলবার। রাত ৪:১৪। ৬ মে, ২০২৫।

৩টি স্যান্ডউইচ কিনে দেউলিয়া মার্কিন নারী

Asha Mony
ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৪ ৫:৫৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

অনলাইন ডেস্ক: মার্কিন বহুজাতিক চেইন ফাস্টফুড রেস্তোরাঁ সাবওয়ে থেকে সাধারণ ৩টি স্যান্ডউইচ কিনে নিজের ব্যাংক হিসাবের প্রায় সম্পূর্ণ অর্থ খুইয়েছেন লেটিশিয়া বিশপ নামের এক নারী। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যাঞ্চলীয় রাষ্ট্র ওহিওতে ঘটেছে এই ঘটনা।

এক প্রতিবেদনে মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক পোস্ট জানিয়েছে, দু’মাস আগে নিজের এবং পরিবারের সদস্যদের জন্য বাড়ির নিকটস্থ সাবওয়ে রেস্তোরাঁ থেকে তিনটি স্যান্ডউইচ কিনেছিলেন লেটিশিয়া। পরে ডেবিট কার্ডে বিল পরিশোধ করতে দিয়ে দেখেন প্রতিটি স্যান্ডউইচের মূল্য ১ হাজার ০১০ ডলার ৮৩ হাজার ৪০৬ টাকা হিসেবে ৩টি স্যান্ডউইচের মোট দাম রাখা হয়েছে ৩ হাজার ৩০ ডলার বা ২ লাখ ৫১ হাজার ১৯৯ টাকা। সেই সঙ্গে ডেলিভারি চার্জ ধার্য করা হয়েছে ১ হাজার ২১ ডলার বা ৮৪ হাজার ৯৪৯ টাকা। অর্থাৎ স্যান্ডউইচ ও ডেলিভারি চার্জ বাবদ সাবওয়ের ওই শাখা রেস্তোরাঁটি মোট বিল ধার্য করেছে ৪ হাজার ১০ ডলার বা ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৬৮ টাকা।

ডেবিট কার্ডে স্যান্ডউইচ ও ডেলিভারি চার্জের বিল পরিশোধ করার পর লেটিশিয়া বিশপ দেখতে পান, তার ব্যাংক হিসেবের প্রায় সব টাকা শেষ হয়ে গেছে।

প্রসঙ্গত, যে ধরনের স্যান্ডউইচের অর্ডার লেটিশিয়া দিয়েছিলেন, সাবওয়ে’র অন্যান্য শাখা এবং যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন ফাস্টফুড রেস্তোরাঁয় এসব স্যান্ডউইচের যৌক্তিক মূল্য ৬ দশমিক ৫ ডলার (৫৮৩ টাকা) থেকে ১২ ডলারের (৯৮৪ টাকা) মধ্যে।

আকস্মিক এই ঘটনার পর সাবওয়ের সেই শাখা রেস্তোরাঁয় এ ব্যাপারে অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন লেটিশিয়া, কিন্তু কর্মীরা তাকে রেস্তোরাঁর মূল কর্পোরেট শাখায় যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন। তবে তারা যেসব ফোন নাম্বার দিয়েছিলেন, সেগুলোর সব বন্ধ পাওয়া গেছে।

কয়েক দিন আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে নিজের এই বিড়ম্বনার কথা জানান লেটিশিয়া বিশপ। পোস্টে তিনি বলেন, ‘দুই মাস ধরে আমি অনিশ্চয়তার মধ্যে কাটাচ্ছি। মূল কর্পোরেট শাখার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছি না, কারো কাছ থেকে সহযোগিতাও পাচ্ছি না। যে ব্যাংকে আমার অ্যাকাউন্ট, সেখানেও যোগাযোগ করেছি; কিন্তু তারাও কোনো সহযোগিতা বা পরামর্শ দিচ্ছে না।’

সাবওয়ের যে রেস্তোরাঁয় স্যান্ডউইচের অর্ডার দিয়েছিলেন, সেটিও গত প্রায় দু’সপ্তাহ ধরে বন্ধ রয়েছে বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পোস্টে উল্লেখ করেছেন তিনি। সাবওয়ের ওয়েবসাইটেও সেই শাখা রেস্তোরাঁটি ‘সাময়িকভাবে বন্ধ’ রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

সৌভাগ্যবশত, লেটিশিয়া বিশপের এই পোস্টটি নজরে পড়েছে ভোক্তা অধিকার বিষয়ক অ্যাডভোকেসি সংস্থা বেটার বিজনেস ব্যুরোর (বিবিবি) কর্মকর্তা লি অ্যান ল্যানিগানের। বিবিবির কনজ্যুমার রিলেশন্স অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশনস শাখার কর্মকর্তা নিউইয়র্ক পোস্টকে এ প্রসঙ্গে বলেন, এটি একটি ইচ্ছাকৃত চুরির ঘটনা এবং ব্যাংক ও রেস্তোরাঁর মধ্যে যোগশাযসের মাধ্যমে এই চুরি ঘটেছে বলে সন্দেহ করছেন তিনি।

‘লেটিশিয়া বিশপের সামনে এখনও দু’টি পথ খোলা আছে। এক— তিনি সোজা ব্যাংকে গিয়ে বলতে রশিদ দেখিয়ে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ কে ব্যাবস্থা নেওয়ার জন্য বলতে পারেন। যদি ব্যাংক তাতে রাজি না হয়, সেক্ষেত্রে নিকটস্থ থানায় মামলা করতে পারেন।’

‘দুই— তিনি যে যে অঙ্গরাজ্যে থাকেন, সেখানকার বিবিবি শাখা কার্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে এই সমস্যাটি সেখানে বলতে পারেন। আমাদের নিজস্ব আইনজীবী প্যানেল ও অন্যান্য লজিস্টিক সাপোর্ট রয়েছে। আমরা তাকে সহযোগিতা করতে পারি,’ নিউইয়র্ক পোস্টকে বলেন ল্যানিগান।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল সময়ের কথা ২৪ লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন somoyerkotha24news@gmail.com ঠিকানায়।