রাবি প্রতিনিধি : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনের খসড়া ভোটার তালিকাসহ চার দফা দাবি জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়কেরা। আজ সোমবার রাকসু ভবনের সামনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান তাঁরা।
দাবিগুলো হলো—আগামী তিন দিনের মধ্যে রাকসুর খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করতে হবে; ২৮ এপ্রিল ২০২৫ সালের পর যাঁরা ভর্তি হয়েছেন, তাঁদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না; নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনা ও রাকসু নির্বাচনের নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করতে হবে; নির্বাচন কমিশনকে আগামী সাত দিনের মধ্যে সব স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে আলোচনা করে তফসিল ঘোষণা করতে হবে; এর পাশাপাশি ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের প্রবেশ ও বাইক চলাচল সীমিত করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ্য করেন সাবেক সমন্বয়ক মেহেদী সজিব। তিনি বলেন, ‘রাকসু নির্বাচন নিয়ে প্রশাসনের বিভিন্ন অংশের কার্যক্রম ও দৃষ্টিভঙ্গি প্রশ্নবিদ্ধ। ঘোষিত রোডম্যাপ বারবার উপেক্ষিত হচ্ছে। গত ১৩ এপ্রিল আচরণবিধি প্রকাশের কথা থাকলেও তা এখনো হয়নি। সর্বশেষ ২৮ এপ্রিল খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করার কথা থাকলেও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তা আটকে রাখা হয়েছে বলেই আমাদের ধারণা।’
মেহেদী সজিব বলেন, ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত যাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, শুধু তাঁরাই ভোটার তালিকায় স্থান পাবেন। এর ব্যত্যয় ঘটলে তা হবে নির্বাচন বানচালের অপচেষ্টা ও আচরণবিধির লঙ্ঘন। এ ছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে রাজনৈতিক সংগঠনগুলোর মুখোমুখি অবস্থান শিক্ষার পরিবেশকে বিঘ্নিত করছে এবং নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা তৈরি করছে।
খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ না হওয়া প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে মেহেদী সজিব বলেন, ‘আমরা সরাসরি কিছু বলছি না, তবে কেউ যদি বাধা না দিত, তাহলে ২৮ এপ্রিলেই আমরা খসড়া ভোটার তালিকা পেয়ে যেতাম। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তারিখ ঘোষণা করলেও নানা অজুহাত দেখিয়ে এখনো তা প্রকাশ করেনি। এমনকি নির্বাচন কমিশন গঠনের এত দিন পরেও একটি মিটিং পর্যন্ত করতে পারেনি, এ থেকেই বোঝা যায় তারা কতটা আগ্রহী। প্রশাসনের সদিচ্ছা থাকলে রাকসু হতে পারত দেশের প্রথম সক্রিয় ছাত্র সংসদ।’
রুয়া (রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন) নির্বাচন নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা রাকসু নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে কি না, এই প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘রুয়া হলো সাবেক শিক্ষার্থীদের সংগঠন আর রাকসু বর্তমান শিক্ষার্থীদের। রুয়ার নির্বাচন যেভাবে আটকে দেওয়া হয়েছে, রাকসুর ক্ষেত্রেও একইভাবে বাধা তৈরি হতে পারে, এমন আশঙ্কা আমরা উড়িয়ে দিচ্ছি না।’