অনলাইন ডেস্ক : জুলাই-আগস্ট মাসে লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগের মাঠে গড়ানোর অপেক্ষা। দলগুলোকে নিয়ে এখন থেকেই নিজেদের পরিকল্পনা সাজাতে বসেছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড (এসএলসি)। আর সেই পরিকল্পনার টেবিলেই কপাল পুড়লো বাংলাদেশি তারকাদের স্মৃতি জড়ানো দুই দলের।
এসএলসি-এর সবশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগে কলম্বো স্ট্রাইকার্স এবং জাফনা কিংসের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করেছে আয়োজক বোর্ড। কলম্বোতে গেল আসরে খেলেছিলেন তাসকিন। আর হৃদয়ের লঙ্কান লিগে অভিষেক ছিল জাফনা কিংসের হয়ে। এই দুই দলকেই এবার মাঠে নামতে হবে নতুন মালিকানা।
লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে অবশ্য দলগুলোর বাদ পড়া আর যুক্ত হওয়ার এমন ধারা নতুন নয় মোটেই। এলপিএলে ৫ম আসর মাঠে গড়াবার কথা থাকলেও বর্তমানে কোনো দলেরই প্রাথমিক মালিকানা আর যুক্ত নেই। ৫ ফ্র্যাঞ্চাইজির কেউই ৩ মৌসুমের বেশি সময় এই লিগে টিকতে পারেনি।
জাফনা কিংস ছিল সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী দল। যারা দ্বিতীয় মৌসুম থেকে চতুর্থ মৌসুম পর্যন্ত তারা লিগের অংশ ছিল। এলপিএলের ইতিহাসে অন্যতম সফল দল জাফনা। এখন পর্যন্ত চারটি আসরের মধ্যে তিনবার শিরোপা জিতেছে তারা। অপরদিকে, কলম্বো ফ্র্যাঞ্চাইজি ৫ম আসরে এসে চতুর্থবারের মতো মালিক পরিবর্তন করতে যাচ্ছে। এই দলটি এর আগে “কলম্বো কিংস” এবং “কলম্বো স্টারস” নামেও এলপিএলে অংশ নিয়েছিল।
এলপিএলে এই দুই দল চলে যাওয়ার কারণে ২০২৪ এর পূর্বের কোন দলই আর থাকছে না। গল মার্ভেলস, ডাম্বুলা সিক্সার্স এবং ক্যান্ডি ফ্যালকনস – এই তিনটির বর্তমান মালিকরাও ২০২৪ সালে নতুন করে যুক্ত হয়েছিলেন।
কেন জাফনা এবং কলম্বো ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে চুক্তি বাতিল করা হয়েছে এর ব্যাখ্যায় শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট (SLC) জানিয়েছে, “চুক্তিগত দায়বদ্ধতা পূরণে ব্যর্থতা”র কারণে এই দুই দলের মালিকানা বাতিল করেছে। তবে তারা ব্যর্থতার বিষয়ে বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করেনি।
উল্লেখ্য, সবশেষ লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগে বাংলাদেশ জাতীয় দলের ৪জন তারকা খেলেছিলেন ভিন্ন তিন দলে। ডাম্বুলা সিক্সার্সে ছিলেন তাওহীদ হৃদয় এবং মুস্তাফিজুর রহমান। তাসকিনের ঠিকানা ছিল কলম্বো স্ট্রাইকার্সে। আর শরিফুল ইসলাম খেলেছিলেন ক্যান্ডি ফ্যালকনসের হয়ে। ২০২৫ আসরের তারিখ কিংবা ড্রাফট নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো ঘোষণা দেয়নি লঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড।